রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাঙাচোরা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে

বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত, বৃষ্টি হলে জমে পানি

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

ভাঙাচোরা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে

ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সড়কের তেঁতুলতলা হিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সড়কে ওসমানপুর থেকে ডুগডুগিহাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। পিচ উঠে ইট, সুরকি এবং খোয়া সরে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। দেখলে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা না কাঁচা সড়ক। এ সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে রোগী, বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওসমানপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সড়কের ভাঙা অংশ শুরু। এরপর একটু সামনে গেলে চোখে পড়বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দে জমে যায় পানি। সেখানে ইট ফেলে জোরাতালি দিয়ে সাময়িকভাবে উঁচু করা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এরপর বাজারের আরেকটু সামনে তেঁতুলতলা হিলি বাসস্ট্যান্ড। সেখানেও বড় বড় দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সব সময় পানি জমে থাকে। রিকশা বা অটোরিকশা জাতীয় ছোট গাড়িগুলো মোচড় খেয়ে প্রায়ই রিং বেঁকে যায়। কখনো কখনো অটোরিকশা উল্টে ঘটে দুর্ঘটনা। ওসমানপুর বাজার থেকে সূরা মসজিদের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। এ সড়কে যেতে চোখে পড়বে তিনটি হেয়ারিং বন্ডসহ প্রায় ১০টি বড় এবং ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত। সূরা মসজিদ থেকে বলাহার বাজারের দূরত্বও তিন কিলোমিটার। এ সড়কে যেতে দেখা যায় প্রায় ১৫টি গর্ত এবং বেশির ভাগ স্থানে রাস্তার পিচ ও ইট-সুরকি উঠে গেছে। একই অবস্থা ৯ কিলোমিটার সড়কের পরো অংশেরই। সুলতান কবীর, শফিকুলসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ৪-৫ বছর আগে থেকে এ অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কের ছোট-বড় গর্তে পানি জমে ডোবার মতো মনে হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা ওই পথ দিয়ে যাতায়াতের সময় মোটরসাইকেল বা যানবাহন থেকে ছিটে আসা-কাদা পানিতে নাজেহাল হয়। উঁচু হেয়ারিং বন্ডগুলোতে গাড়ি উঠানামার সময় মোচড় খায়। কয়েকজন সিএনজি ও অটোচালক বলেন, এ সড়কে যাতায়াতে শরীরে এত ঝাঁকি লাগে যে ব্যথা হয়ে যায়। কয়েক দিন পর পর গাড়ি ঠিক করতে টাকা খরচ করতে হয়। ওসমানপুর, পাটশাও, সূরা মসজিদ, বলাহার বাজারসহ ডুগডুগি বাজারের কয়েকজন বলেন, ৪-৫ বছর ধরে সড়কটি ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানালেও মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জানা গেছে, ঘোড়াঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

সর্বশেষ খবর