রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

কলাপাড়া প্রতিনিধি

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

পর্যটকের পদচারণে মুখর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে গতকাল পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ছিল পর্যটকের ঢল। সমুদ্রসৈকতের লেম্বুরবন, নদীর মোহনা, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটার কুয়া, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ দর্শনীয় স্পটগুলো পর্যটকের পদচারণে ছিল মুখরিত। রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাঁতপল্লী সবখানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। আবার অনেকে সৈকতে ফ্রাই ও বারবিকিউ দোকানগুলোতে কাঁকড়া, চিংড়িসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিচ্ছেন। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার প্রথম দিন কুয়াকাটায় তেমন ভিড় ছিল না। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেলে পর্যটকের আগমন ঘটে। দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আবাসকি হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অফার ঘোষণা করেছেন। তানিয়া নামে একজন বলেন, তারা নিজস্ব মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রে ঢেউ আর ¯িœগ্ধ প্রকৃতি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। পর্যটক মনির হোসেন বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। মেহেদী হাসান জানান, কুয়াকাটা সুন্দর জায়গা। বন্ধুদের নিয়ে পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পরই কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলে কমেছে পর্যটক : শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানান, পর্যটক কমছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এখানে আর আগের মতো পর্যটকরা আসছেন না। তাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, প্রতি বছর ঈদ কিংবা সরকারি ছুটির দিনে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত। হোটেল-রিসোর্টে রুম পাওয়া যেত না। রাত কাটাতে হতো গাড়িতে ঘুমিয়ে বা হাঁটাহাঁটি করে। দুই বছর ধরে চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ঈদের বন্ধে এখানে পর্যটক আসছেন না। উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট অনেকটা শূন্য। স্থানীয় কিছু মানুষের আনাগোনা ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আসা পর্যটকর সংখ্যা           একেবারে কম ছিল। খালি পড়ে রয়েছে এখানকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য খালেদ হোসেন বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরও আকর্ষণীয় করতে হবে। সব সুযোগ-সুবিধা রাখতে হবে। টি হেভেন রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার নূরুল আলম টিটু বলেন, ‘আমাদের অবস্থা ভালো নয়। এভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর