রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু, যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গত বুধবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। উৎপাদনের প্রথম দিনই এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা ৫১ মিনিট থেকে ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের মধ্য দিয়ে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটিতেও উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ও ঈদের ছুটির কারণে গত চার দিন দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকায় এ ইউনিটের পূর্ণ ক্ষমতার উৎপাদন করা হয়নি। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি চালুর পর কয়লা সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির করণে কয়েক মাসে একাধিকবার বন্ধ রাখতে হয়। এখন কয়লা সংকট না থাকা ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ায় এ কেন্দ্র থেকে সক্ষমতার ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে যানান এই কর্মকর্তা।

সরকার ২০১০ সালে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সুন্দরবন-সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমিতে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ২০১২ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিসিপি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৩ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।

সর্বশেষ খবর