রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিক্রি হয়নি ৩৮ মণের রাজাবাবু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

বিক্রি হয়নি ৩৮ মণের রাজাবাবু

কোরবানির ঈদে আলোচনায় ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৮ মণ ওজনের ‘রাজাবাবু’। মালিক তাকে বিক্রির জন্য ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে গেলেও কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় বিক্রি না করেই ফিরিয়ে এনেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খামারি সাবেক ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী। হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা-কালো রঙের বিশাল দেহের ষাঁড়টি জুলফিকার আলীর খামারে বড় হয়েছে। খামারের মালিক সখ করে নাম রেখেছিলেন রাজাবাবু। তাকে অতি যতেœ দেখভাল করছেন তিনি, খাইয়েছেন, কলা, মাল্টা, কমলাসহ প্রাকৃতিক খাবার। এবার কোরবানির ঈদে রাজাবাবুকে ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিক্রি করার জন্য এবং দাম হাঁকা হয়েছিল ১৭ লাখ টাকা। ক্রেতারা সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দাম বলায় তিনি বিক্রি না করে নিজের খামারে ফিরিয়ে আনেন। খামারি জুলফিকার আলী জানান, বিশাল দেহের রাজাবাবুকে ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রেতারা সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দাম বলেছিল। তাই রাজাবাবুকে আর বিক্রি করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, কোরবানি ঈদের জন্য রাজাবাবুকে প্রস্তুত করা হয়েছিল। শান্ত স্বভাবের এ ষাঁড়টিকে ধান-চাল-গম-ভুসিসহ অন্যান্য খাদ্য খাওয়ানো হয়। এর পেছনে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ টাকা খরচ হয় কিন্তু এবার ষাঁড়টির আশানুরূপ দাম পাওয়া যায়নি। তাই আবার বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর কোরবানি মৌসুমে ৩২ মণ ওজনের চাঁপাই সম্রাট নামে একটি ষাঁড়ের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন খামারি জুলফিকার আলী। তবে গত বছর ষাঁড়টি আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে না পারলেও এবার রাজাবাবুকে বিক্রি করে কাক্সিক্ষত লাভের আশা করেছিলেন কিন্তু সেই আশা এবারও পূরণ হলো না তার।

সর্বশেষ খবর