রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেই কিশোরী জন্ম দিল পুত্রসন্তান!

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা আলোচিত-সমালোচিত ধর্ষণ মামলার বাদী অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ওই কিশোরী হাসপাতালে রোগী ভর্তির রেজিস্ট্রারে নবজাতকের পিতার নাম সৌরভ লেখা হয়েছে। এটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ছেলের বাবা যদি সৌরভ হয় তাহলে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা কি রাজনৈতিক? ২৭ জুন বিকালে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে ওই কিশোরী টাঙ্গাইল শহরের ব্যুরো বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল শহরের ব্যুরো বাংলাদেশ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। ওই হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. মালেকা সফি কিশোরীর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেওয়া শিশুর বাবার নাম লেখা হয়েছে সৌরভ। এদিকে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদী ওই কিশোরী একাই কীভাবে পুলিশি কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মো. আবদুস সালাম মিয়া জানান, মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।

এর পরও বর্তমানে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ নবজাতকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল মডেল থানায় ওই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। কারাগারে বড় মনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব। প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল রাতে এক কিশোরী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেছিলেন। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। এদিকে মেডিকেল বোর্ড ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেলেও ধর্ষণের আলামত পায়নি। এ ছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর