মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

লালমনিরহাটে কাঁচা মরিচের ফলন কম

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে কাঁচা মরিচের ফলন কম

আদিতমারী উপজেলার একটি মরিচ খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো লালমনিরহাটেও কাঁচা মরিচের দাম চড়া। জেলার বিভিন্ন হাটে গতকালও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০০-৫২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১২ একর জায়গাজুড়ে মরিচের খেত। কিছু জমি থেকে কৃষক মরিচ সংগ্রহ করে পাইকারের কাছে বিক্রি করছেন। কৃষক ও পাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের এই সময়ে খেতে যে পরিমাণ মরিচের ফলন হওয়ার কথা এবার তা পাচ্ছেন না। উৎপাদন কম এবং চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে। কৃষক আজিজার রহমান বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জমিতে মরিচ আবাদ করেছি। কয়েকদিন আগে টানা খরায় গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, পাতা কুঁকড়ে গিয়েছিল। যে পরিমাণ জোয়ার (ফুল) আসার কথা তা আসেনি। ফলে এই সময়ে যতটুকু ফলন হওয়ার কথা তা হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি আজ (সোমবার) মাত্র দেড়-দুই মণ মরিচ তুলতে পেরেছি। অথচ এই ৬০ শতক জমি থেকে ৬-৭ মণ মরিচ পাওয়ার কথা। এখন বৃষ্টি পেয়ে গাছ সতেজ হয়েছে, জোয়ারও এসেছে। আশা করছি কয়েক দিন পর ফলন বাড়বে। মরিচের ফলন নিয়ে একই কথা জানান কৃষক মনির ও কুতুব উদ্দিন। দুরাকুটির কৃষক আবুবক্কর বলেন, আজ এই মাঠ থেকে মাত্র ১০-১২ মণ মরিচ ওঠানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে এখানে অন্তত ৫০-৬০ মণ মরিচ পাওয়ার কথা। কয়েকদিন আগের টানা গরম আর খরায় প্রত্যাশিত ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। এখন বৃষ্টি হওয়ায় গাছে ফুল আসছে। অতিবৃষ্টি হলে আবার গাছের ক্ষতি হতে পারে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, ‘খরায় যেমন ফুল কম এসেছিল তেমনি এখন গাছে যে ফুল আসছে, অতিবৃষ্টিতে তা আবারও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

সর্বশেষ খবর