বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মামলায় এমপিসহ ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন

শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নিহত চেয়ারম্যানের ছেলে ও মামলার বাদী আমিনুর রশীদ খান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা, সিআইডি, পিবিআইসহ বিভিন্ন দফতরে এই আবেদন করেন। আবেদনে শিবপুর আসনের এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, তার ভাই জুনায়েদুল হক ভূঁইয়া, আসাদুজ্জামান, ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মাসুদ পারভেজ, ফারুক খান, সিরাজ মিয়া, বাদল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম রিপন, সুমন, আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, রাকিবুল ইসলাম ইরফান, কাউছার মিয়া, শাহাদত হোসেন, সেলিম, সজিব মোল্লা, আরমান পাশা, শাওন খান ও বাবুল মিয়াকে এই হত্যা মামলায় আসামি করার জন্য অনুরোধ করা হয়। মামলার বাদী নিহত উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশীদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এমপি মোহন সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি না করে বরং খুনিদের শেল্টার দিয়ে আসছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর এমপির ভাই জুনো খুনি আসাদের বাড়িতে গরুর খিচুড়ি-মাংস খেয়ে খুনিদের নিয়ে আমোদ ফুর্তি করে। এতে প্রমাণ হয় এই জঘন্য হত্যাকান্ডে এমপি মোহনসহ তার অনুসারীরা নেপথ্য ছিল। আমরা এই মামলায় তাদের আসামি হিসেবে দেখতে চাই। এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন অভিযোগ মিথ্যা আখ্যায়িত করে  বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান ছিলেন আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক। তার মৃত্যুত আমিও ব্যথিত। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যার বিচার দাবি করে তিনি প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বলেন, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

সর্বশেষ খবর