জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে একজন নিহত হলে আপসের প্রলোভন দেখিয়ে মামলা প্রক্রিয়া স্থগিত করান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের দালালরা। ময়নাতদন্তের পর লাশ পুড়িয়ে ফেললে আপসের কথা অস্বীকার করে বিরোধীপক্ষ। মোটা টাকার বিনিময়ে দালালরাও পিছটান দেন। এমন ঘটনায় আটোয়ারী উপজেলার বারঘাটি গ্রামের এক পরিবার বিপাকে পড়েছে। এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। নিহত ব্যক্তির মৃত্যুসনদও দিচ্ছেন না চেয়ারম্যান। বিভিন্ন দফতরে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন ওই গ্রামের মৃত গবিন চন্দ্র দেবের ছেলে গোপাল চন্দ্র। অভিযোগে জানা যায়, ৯ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল গবিন চন্দ্র এবং অনিল চন্দ্রের মধ্যে। ১৬ এপ্রিল একই জমিতে দুই পক্ষ কৃষি কাজ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। গবিন চন্দ্রের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন গবিন চন্দ্রকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে। তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। গবিনের ছেলেরা এ ঘটনায় হত্যা মামলা করতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন তাদের আপসের প্রস্তাব দেন। ছেলে গোপাল চন্দ্র জানান, তারা (দালাল) হত্যার কথা চাপা রেখে পুলিশকে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলতে বলেছে। এখন তারা আপস মীমাংসার কথা অস্বীকার করছে। আমাদের কাছে সবকিছুর রেকর্ড রয়েছে। তাদের জন্য আমরা আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি। এখন মৃত্যু সনদও দিচ্ছে না। আমাদের নানা হুমকি দিচ্ছে। আমরা পরিবার নিয়ে গভীর সংকটে আছি। অনিল চন্দ্র দেব জানান, গবিন চন্দ্রের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপসের প্রশ্নই আসে না। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ জানান, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট এখনো আসেনি। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুসনদ দেওয়া যাবে না। আটোয়ারী থানার ওসি সোহেল রানা জানান, অনেক রাতে আমরা লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নিয়ে আসি। গবিন চন্দ্র দেবের ছেলেরা ময়নাতদন্ত করতে চায়নি। আপসের প্রলোভনের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।