লাইফ জ্যাকেটসহ অন্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ছাড়াই উত্তাল পদ্মায় স্পিডবোটে পারাপার করা হচ্ছে যাত্রী। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং পাবনার কাজিরহাট নৌপথে পদ্মা ও যমুনা নদীতে এভাবে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এতে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। ঘাট সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে পাবনার কাজিরহাটের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। স্পিডবোটে এ নৌপথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। দীর্ঘ নৌপথ পাড়ি দিতে সময় কম লাগায় যাত্রীদের আগ্রহ স্পিডবোটে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পিডবোটের ব্যবস্থা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দৌলতদিয়া থেকে কাজিরহাট পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৩০০ টাকা। দৌলতদিয়ার মালিকানাধীন ছয়টি এবং কাজিরহাটের মালিকানাধীন আরও ছয়টি স্পিডবোট এ নৌরুটে চলাচল করে। অভিযোগ রয়েছে, অদক্ষ চালক দিয়ে স্পিডবোটগুলো চালানোয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। প্রতিটি বোটে ১২ জন যাত্রী বহনের কথা থাকলে ১৬ থেকে ২০ জন তোলা হচ্ছে। যাত্রীদের বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা জ্যাকেট বা লাইফ জ্যাকেট পরার কথা থাকলেও সেগুলো সরবরাহ করে না কর্তৃপক্ষ। স্পিডবোট যাত্রী বকুল মিয়া বলেন, আমরা বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের স্পিডবোট চালানোর অনুমতি রয়েছে। যাত্রীদের আসলে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় কিন্তু তারা সেগুলো পরতে চান না। দৌলতদিয়া প্রান্তে স্পিডবোড রয়েছে তোফাজ্জেল হোসেন তপু নামে একজনের। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করা হবে। বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক আফতার হোসেন বলেন, স্পিডবোট চালকদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে।