মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাভারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ

বেশি আক্রান্ত পোশাক শ্রমিকরা

সাভার প্রতিনিধি

বেশি আক্রান্ত পোশাক শ্রমিকরা

সারা দেশের মতো ঢাকার সাভারেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এদের অনেকেই জানেন না কেন ডেঙ্গু হয় বা এর প্রতিকার কী?

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সাভার ও আশুলিয়ার প্রত্যেক পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি জরুরি। জানা যায়, গত কয়েকদিনে সাভার-আশুলিয়ার হাসপাতালগুলোতে শতাধিক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের এক তৃতীয়াংশই পোশাক শ্রমিক। গত শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, এনাম মেডিকেলে ৪০, আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ২৬ এবং সাভারের সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ গণস্বাস্থ্যে ১২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। কয়েকজন শ্রমিক বলেন, কেন এ রোগ হয়? এর লক্ষণ বা প্রতিরোধে করণীয় কী তারা জানেন না। সারা দিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়। এসব জ্বর নিয়ে ভাবার সময় নেই। সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পোশাক শ্রমিক মর্জিনা বেগম বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় কাজের মধ্যে কাটে। ডেঙ্গু সম্পর্কে তেমন জানতাম না। হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। আক্রান্ত আরেক শ্রমিক রহিমা বলেন, কারখানা মালিকরা এ রোগ সম্পর্কে আমাদের জানালে আমরা সবাই সচেতন হয়ে চলাফেরা করতাম। বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক তৈরি পোশাক কারখানায় ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশা সম্পর্কে শ্রমিকদের জানানো হলে তারা সচেতন হতে পারবে। আমি ইতোমধ্যে কয়েকটি কারখানার মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ছাড়া আমাদের কর্মীরা শ্রমিক কলোনিতে গিয়ে সচেতন করে আসছে। পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. দবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের এখানে ২৮ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বেশির ভাগই পোশাক কারাখানায় কাজ করেন। কেন পোশাক শ্রমিক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল বলেন, অনেক শ্রমিক অল্প টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এতে বাসার পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে হয়। এ কারণে সেখানে জন্ম হয় এডিস মশার। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের কারখানা থেকে সচেতন করা গেলে তারা বেশি সচেতন হতো। সায়েমুল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ কর্নার করা হয়েছে। সেখানে শুধু ডেঙ্গু রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন বলেন, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে মশকনিধন ওষুধ কেনা, এই এলাকার ৯টি হটস্পটসহ ৪১টি ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে। 

সর্বশেষ খবর