বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজৈরে পানিবন্দি ৫০ পরিবার

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

রাজৈরে পানিবন্দি ৫০ পরিবার

মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার ৫০টির বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও যাতায়াতের নির্দিষ্ট পথ না থাকায় পানি জমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।

সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের সুফি জোনাবালী সড়কের পাশে আলমদস্তার এলাকার চারদিকে পানি জমে আছে। এ পানির মধ্য দিয়েই সবাইকে চলাফেরা করতে হয়। ঘর বা নিজ ভবন থেকে নিকটতম সড়কে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। গালমন্দ উপেক্ষা করে অন্যের জায়গা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। জায়গার মালিক তাদের লোহার গেট বন্ধ করে দিলে ৫০টির বেশি পরিবার একেবারে পানিবন্দি হয়ে পড়ে। যাতায়াত পথের অভাবে পরিবারগুলোর আবাসিক উন্নয়ন বন্ধ আছে দীর্ঘকাল। অনেকে নিজ বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এমনকি আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস বা মুমূর্ষু রোগী আনা-নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেওয়া সম্ভব হয় না। ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। মাত্র ১০০ গজ দূরে উপজেলার প্রধান সড়কে যেতে অন্যের জায়গা ব্যবহার হয়। কোনো রকম মতবিরোধ বাধলে লোহার গেটটি আটকে দেয় তখন আমরা একেবারেই বন্দি হয়ে পড়ি। রাস্তার অভাবে নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়া করতে না পাড়ায় বাড়িঘরের নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে আছে। আলমগীর হোসেন বলেন, এতদিন অন্তত কিছু রাস্তাঘাট ভাসমান ছিল। এখন সব রাস্তা ডুবে গেছে। আমরা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে মূল সড়কে উঠতে কোমরপানি ভেঙে যেতে হয়। এলাকার এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে পানি ওঠেনি। আবদুর রহমান জানান, এ চরে ৬০টি পরিবারের বাস। জায়গাটি নিচু হওয়ায় বেশির ভাগ ঘরবাড়িতে বৃষ্টি হলেই পানি জমে। তখন ঠিকমতো রান্না করতে না পারায় অনেকে একবেলা খেয়েই দিন কাটান। এ এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকটে মফিজুর রহমান জানান, পৌরসভার সব নিয়ম মানলেও আমরা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এ সমস্যা সমাধানে পৌরসভার শরণাপন্ন হলেও সমাধান মেলেনি। আমরা দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছি। বেশি বৃষ্টি হলে অনেকের ঘরে পানি ঢোকে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণের ফলে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। রাজৈর পৌর মেয়র নাজমা রশিদ বলেন, সমস্যা সমাধানে রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিছু লোকের কারণে নির্মাণ কাজ থেমে যায়। পুনরায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর