শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মামলা দিয়েও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ সিএনজি-অটোরিকশা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

মামলা দিয়েও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ সিএনজি-অটোরিকশা

বগুড়ায় ৩০ হাজার সিএনজি ও ৫০ হাজার অবৈধ অটোরিকশার দাপটে দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাপটে এসব অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে শহরজুড়ে। সরকারের অনুমতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র স্ট্যান্ড হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বগুড়াবাসীদের। অকালে ঝরছে অনেক প্রাণ। জেলা ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৭৬টি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৬০৯টি মামলা নিষ্পত্তি করে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬১০ টাকা আদায় করলেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ সিএনজি ও অটোরিকশাগুলোকে। জানা যায় বগুড়ায় প্রায় ৩০ হাজার সিএনজি গ্যাসে চালিত ও ৫০ হাজার অটোরিকশা অবৈধভাবে চলাচল করছে প্রতিদিন। বগুড়া জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ৯০ শতাংশের কোনো রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুটপারমিট, চালকের লাইসেন্স নেই। একদিকে যেমন অবৈধভাবে চলাচলকারী সিএনজিগুলো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। সিএনজিগুলো দিনের বেলায় শহর থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচল করে। অপরদিকে শহরের মধ্যে যত্রতত্র স্ট্যান্ড গড়ে যানজটের সৃষ্টি করেছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকার সুযোগে সিএনজিচালক মালিকদের একশ্রেণির সুবিধা আদায়কারী সংস্থা নিজেদের ফায়দা লুটছে। আবার বেশ কিছু সিএনজি অবৈধভাবে বগুড়া শহরে চলাচল করে তারা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে। তাদের মালিকানাধীন সিএনজি-অটোরিকশার কারণে যানজট লেগেই থাকছে বগুড়া শহরজুড়ে। যে সব এলাকায় এসব সিএনজি চলাচল করছে ওইসব সিএনজি মালিক সমিতির নেতারাও ক্ষমতাসীন দলের নানা পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে করতোয়া গেটলক নামে শতাধিক বাস বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে প্রতিদিন শেরপুর উপজেলা শহরে চলাচল করছে। প্রতিদিন ৬ মিনিটি পরপর এই বাসগুলো সাতমাথা থেকে শেরপুরে যাতায়াত করে। এই বাসগুলোও চলে যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে। করতোয়া গেটলকে ওই যুবলীগ নেতার মালিকানা বাস থাকায় পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। কবি জয়ন্তদেব জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো শহর সিএনজি ও অটোরিকশার দখলে থাকে। সেই সঙ্গে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। সাধারণ মানুষ নির্বিগ্নে পথ চলতে পারছে না। প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা। বগুড়ায় যানজট বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর