শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোরূপায় মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আলোরূপা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ-ছয়জন ব্যবসায়ীর দোকান ও গোডাউন পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে লালমনিরহাটের আলোরূপা মোড়ের মার্কেটে ভয়াবহ এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে ব্যবসায়ীদের ততক্ষণে গোডাউন ও দোকানে থাকা অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। অনেকেই দোকান ও গোডাউন বন্ধ করে চলে গেছেন। হঠাৎ আলোরূপা মোড়ের আর্ট স্কোপ নামক দোকানের ওপরে আগুন মুহূর্তে পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা দেখে অনেকটা নিরূপায় হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পাশের পুকুরের পানি দিয়ে টানা ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

আলোরূপা মোড়ের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী খেলা ঘরের প্রোপাইটার সুশান্ত কুমারের ছেলে ধনঞ্জয় বলেন, আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। রাত ১০টার পরপর এক বন্ধুর ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। এসে দেখি দোকানের অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। হঠাৎ এ আগুনে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী লালমনি জেনারেল স্টোরের মালিক বাদল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটি। আগুনে দোকান ও গোডাউন পুড়ে গেল। মুহূর্তে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। একেবারে পথে বসে গেলাম। এ সময় তিনি প্রশাসন ও সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রাব্বি জানান, এ আগুনে লালমনি জেনারেল স্টোর, খেলাঘর, স্টার ফার্নিচার, আর্ট স্কোপ, মামুন স্টোর ও দোকান লাগোয়া দুটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার খবরে তা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও এগিয়ে এসেছে। জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার পরপরই খবর পেয়ে লালমনিরহাট ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক যোগে প্রায় ২ ঘণ্টা কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্র ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ও পৌর মেয়র এসেছি। আগুন নেভাতে ফায়ারসার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মানুষরা সহযোগিতা করেছে। চেয়ারম্যান বলেন, আমি তথা উপজেলা পরিষদ সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের পাশে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর