সাভার উপজেলায় সাত দিন ধরে এক স্কুলছাত্রের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় গিয়েও সন্তানের সন্ধান না পাওয়ায় বাবা-মায়ের পাগলের মতো অবস্থা। নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্রের নাম মোহাম্মদ আকাশ (১৫)। সে সাভার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা কবির হোসেনের ছেলে; আন্দনপুর ল্যাবরেটারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। পরিবার জানায়, ৯ জুলাই সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে একা বের হয় আকাশ। সারা দিন পর স্কুল থেকে খবর পাঠানো হয় যে আকাশ স্কুল কেন আসছে না। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ১২ জুলাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আকাশের মা। পুলিশ এখনো আকাশের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। সাভার মডেল থানার ওসি দ্বীপক চন্দ্র সাহা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি, আকাশ খুবই ডেসপারেট ছেলে।

 যতটুকু বোঝা যাচ্ছে, সে নিজে থেকেই চলে গেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভালো না। অভিভাবকরা তার ওপর খেয়ালও ঠিকমতো রাখেননি। এখনো ছেলের সন্ধান না পাওয়ার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আকাশের চাচা মজিবুর রহমান বলেন, ওই দিন সন্ধ্যার পরই আকাশ স্কুলে যায়নি। স্কুলে যায়নি বলেন আমরা স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে তারা দেখাননি। পুলিশ স্কুলে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ না করে উল্টো তাদের কথামতো সবকিছু করছে। স্কুল থেকেই তার ছেলের কিছু হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন আকলিমা। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঠিকভাবে তদন্ত করলে আমার ছেলের খোঁজ পাওয়া যেত। গেন্ডা আন্দনপুর ল্যাবরেটারি স্কুলের মালিক আমিনুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছেলেটি ছয় দিন আগে তাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। সে পড়াশোনায় ততটা মনোযোগী ছিল না। মাঝে মধ্যে কয়েক দিনের জন্য স্কুল থেকে চলে যেত। আবার ফিরে আসত। ৯ জুলাই বাড়ি থেকে স্কুলে আসেনি। ছেলেটিকে খুঁজে পেতে নিজেও চেষ্টা করছেন জানিয়ে শিক্ষক বলেন, অনেক জায়গায় গিয়েও তার কোনো খবর পাইনি। এখন মনে হচ্ছে, ছেলেটিকে স্কুলে ভর্তি করাটাই আমার ভুল হয়েছিল।