বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাঁচ খাল উদ্ধার হলে দূর হবে জলাবদ্ধতা

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

পাঁচ খাল উদ্ধার হলে দূর হবে জলাবদ্ধতা

সুনামগঞ্জ পৌরসভার বেদখল পাঁচটি খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েক যুগ ধরে অবৈধ দখলে থাকা খালগুলো উদ্ধার হলে শহরের জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে মনে করছেন পৌরবাসী। শনিবার এ পাঁচটি খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। এ সময় পৌর মেয়রের পারিবারিক মাদরাসার দখলে থাকা খালের অংশ নিজে উপস্থিত থেকে উদ্ধার করেন পৌর মেয়র নাদের বখত। পরে খামার খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কামার খালের আরপিননগর, পুরাতন বাসস্টেশন, সোমপাড়া ও কালীবাড়ী এলাকায় থাকা অবৈধ দোকানপাট ও বাসাবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশনা ও শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ দখলে থাকা খালগুলো ক্রমান্বয়ে উদ্ধার করা হবে। সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘খাল উদ্ধার অভিযান শুরুর বিষয়টি আশাব্যঞ্জক। তবে যেহেতু খালের ওপর শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদে কী ভূমিকা নেওয়া হবে তা বিবেচ্য বিষয়। এ প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অভিযান চলমান রাখলে শহরের মানুষ এর দীর্ঘমেয়াদি সুফল ভোগ করবে।’ জানা যায়, সুনামগঞ্জ পৌরসভার অবৈধ দখলে থাকা কামার খাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, বলাইখালী খাল, নলুয়াখালী উদ্ধারে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে একটি পরিবেশবাদী আন্দোলন। এর পরিপ্রেক্ষিতে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করার নির্দেশনা দেন হাই কোর্ট। এতে নড়েচড়ে বসেন পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। ফলে পাঁচ খালের দখলদারদের নিজ দায়িত্বে খালের ওপরে থাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নির্ধারিত তারিখে স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় উচ্ছেদে নামে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘খালের ওপর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।’ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ‘ভোটের রাজনীতির জন্য খানিকটা চ্যালেঞ্জ হলেও জলাবদ্ধতার ভোগান্তি দূর করতে পৌরবাসীর কল্যাণের জন্য খালগুলো উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর