শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই পদ্মা-মেঘনায়

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই পদ্মা-মেঘনায়

জেলেরা বুকভরা আশা নিয়ে নদীতে জাল ফেললেও ধরা পড়ছে না মাছ

চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না। দিন-রাত নদীতে জাল ফেলেও মাছ না পেয়ে জেলেরা হতাশ। যে পরিমাণ ইলশ ধরা পড়ছে তাতে জেলেদের লাভ-তো দূরের কথা, নৌকার তেল খরচই উঠছে না।

গত মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান শেষে দাদনের টাকার ভার কাধে নিয়ে ১ মে নদীতে নামেন জেলেরা। মৌসুম শুরু হলেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ। এতে জেলার অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মোট ৫১ হাজার ১৮৯ জন জেলে রয়েছেন। জেলে জামাল দেওয়ান ও ফজলু বেপারী বলেন, বুকভরা আশা নিয়ে নদীতে নেমেছি কিন্তু মাছ না পেয়ে হতাশা হয়ে ফিরছি। ভরা মৌসুম হলেও চাঁদপুরের নদীগুলো ইলিশশূন্য। পদ্মা-মেঘনায় দিনরাত জাল ফেলেও আমরা ইলিশ পাচ্ছি না। অধিকাংশ সময়ই শূন্যহাতে জাল-নৌকা নিয়ে ফিরে আসতে হয়। ক্রেতা মাহবুবুর রহমান ও মিল্লাত হোসেন বলেন, ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সংকট এবং দামও অসহনীয়। আড়তদার আ. মালেক খন্দকার ও শামীম জমাদার জানান, জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় আড়তগুলো মাছশূন্য। ভরা মৌসুমে আড়তে ইলিশ না আসায় আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। অন্য বছর এ সময় স্থানীয় নদী ও বরিশালের অনেক মাছ আসত। ইলিশ গবেষক ও চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম বলেন, এ বছর এপ্রিল মাসে আগাম বৃষ্টি হওয়ায় জাটকা সমুদ্রে সরে গেছে। বৃষ্টি ও স্রোত বাড়লে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বেশি ইলিশ ধরা পরবে বলে আশা করছি।

সর্বশেষ খবর