শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সন্ধ্যা হলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

সন্ধ্যা হলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ

রাতে এভাবেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় ভাঙ্গার মোড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ (ভাঙ্গার মোড়) এলাকাটি সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় দেড় মাস ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। জানা যায়, দেড় মাস আগেও এই ইন্টারচেঞ্জটি (ভাঙ্গার মোড়) দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসতেন। সন্ধ্যার পর থেকে স্থানটি দর্শনীয় এলাকায় পরিণত হতো। এখন সেই অবস্থা নেই। বর্তমানে ভূতুরে পরিবেশ বিরাজ করায় এখন ইন্টারচেঞ্জটিকে কেউ ভয়ে দাঁড়ান না। সূত্র জানায়, বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ইন্টারচেঞ্জটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ভাঙ্গা ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মুন্সীগঞ্জ) কাছে জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের ৩১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোধ না করায় ওই এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য প্রথমে ১৬ মার্চ, দ্বিতীয় দফায় ১৫ মে এবং ২৩ মে চিঠি দেওয়া হয়। তারা চিঠির কোনো সদুত্তর দেননি। সওজের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারচেঞ্জের বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়ে যাওয়ায় কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। বিল বকেয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিল পরিশোধের জন্য তাদের কাছে ফান্ড নেই। তবু দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় স্থানীয়সহ ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভাঙ্গা কোর্ট পাড়ের বাসিন্দা রাহাত হোসেন বলেন, ‘পুরো এলাকায় রাতে বিদ্যুতের আলো জ্বলে না।’ স্থানীয় ঝালমুড়ি বিক্রেতা শরীফ শেখ জানান, সন্ধ্যার পর এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। এ কারণে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়ে মানুষ সমাগম কমে গেছে। ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে কথা হয় নড়াইল জেলার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এ ইন্টারচেঞ্জটি অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান বানিয়ে ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় এ স্থানটি সৌন্দর্য হারাচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চলাচলকারী বাসচালক এনায়েত মুন্সী বলেন, সন্ধ্যার পর এ স্থানে অন্ধকার নেমে আসে। পুরো এলাকাটি অন্ধকার থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বাস চালাতেও তাদের সমস্যা হচ্ছে। ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিদ্যুৎ সচল থাকা খুবই জরুরি।

সর্বশেষ খবর