শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
কুলাউড়া ৫০ শয্যার হাসপাতাল

চিকিৎসক-কর্মচারী সংকটে সেবাবঞ্চিত রোগী

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারী সংকটে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ রোগীরা। টেকনিশিয়ান না থাকায় বিকল হয়ে পড়ে আছে পুরাতন এক্স-রে মেশিনটি। আরেকটি মেশিন সরকারিভাবে হাসপাতালে স্থাপন করা হলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে কাজে আসছে না। উপজেলা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় বুধবার এ দুরবস্থার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় জরুরিভিত্তিতে সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের অনুমতিক্রমে সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সদস্য আরএমও ডা. জাকির হোসেনের পরিচালনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- রিপন চন্দ্র দাস, এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, খালেদ পারভেজ বখশ, মমদুদ হোসেন, ইকবাল আহমদ শামীম, মতাহির আলম চৌধুরী, অজয় দাস, নাহিদুজ্জামান, জসিম উদ্দিন, আলমাছুর রহমান প্রমুখ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার বলেন, কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য মঞ্জুরিকৃত ২১ ডাক্তারের মধ্যে ১১ জন কর্মরত থাকলেও প্রেষণে আছেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. এ বি এম রেজাউল করিম মীর, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো. সার্জারি) ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. আমিনুল ইসলাম। অনুমতি না নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন আইএমও ডা. নাজনিন সুলতানা। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ১৯৮ পদের মধ্যে ৭৫টিই ফাঁকা। পাঁচজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে দুজন মৌলভীবাজার সিএস অফিসে ও সদর ইউএইচসিতে প্রেষণে এবং একজন পেনশনে গেছেন। কাজ করছেন মাত্র দুজন।

সর্বশেষ খবর