শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

শামীম কাদির, জয়পুরহাট

বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

খানাখন্দে ভরা জয়পুরহাট চিনিকল বাইপাস সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জয়পুরহাট চিনিকল বাইপাস সড়ক। সড়কটির দুই কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দে ভরা। শহরের ভিতর দিয়ে দিনে ভারী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ পথেই চলছে শত শত ট্রাক। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলেও ভোগান্তির শেষ নেই। জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাইপাস সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জয়পুরহাট চিনিকল স্থাপনের পর আখসহ অন্য মালামাল পরিবহনে নিজস্ব অর্থায়নে ষাটের দশকে পাঁচ টন ধারণ ক্ষমতার দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। যার বিস্তৃতি জয়পুরহাট-খঞ্জনপুর সড়কের স্টেডিয়াম মোড় থেকে জয়পুরহাট-পাঁচবিবি সড়কের কাশিয়াবাড়ি মোড় পর্যন্ত। তখন থেকে সড়কটিতে চিনিকলের অভ্যন্তরীণ যানবাহনসহ জয়পুরহাট শহরের পশ্চিম অঞ্চলের কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। এ সময়ে আখ উৎপাদন কমলে চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটির গুরুত্ব কমে যায়। পরে শহরে যানজটের চাপ বাড়লে জয়পুরহাটের পশ্চিম অঞ্চলের বাইপাস সড়কের গুরুত্ব পায় সড়কটি। সেই সময় থেকে এ পথে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারী মালামাল নিয়ে শত শত ট্রাক নওগাঁ ও রাজশাহীসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করে আসছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ২০-২৫ টনের ট্রাক চলায় সড়কটির দুই কিলোমিটার অংশে পিচ উঠে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে ভাঙ্গা অংশগুলো ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি অকেজো হয়ে পড়লেও সংস্কার না করায় ঝুঁকি বাড়ছে। কাশিয়াবাড়ি রেল ক্রসিংয়ের গেট কিপার রমজান আলী বলেন, ‘সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে মাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে থাকায় হাঁটাও যায় না। ট্রাকচালক হামিদুল আলম বলেন, ‘শহরের ভিতর দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে চিনিকল বাইপাস সড়কে চলাচল করতে হয়। ভাঙ্গা সড়কের কারণে ট্রাকের পাতি ভেঙে যায়। কখনো ফেটে যায় টায়ার। আরেক ট্রাকচালক পিপলু হোসেন বলেন, ‘বাইপাস সড়ক চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তাদের প্রায় অতিরিক্ত ৩০-৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে নওগাঁ ও রাজশাহী যেতে হয়। এ পথে (বাইপাস সড়ক) ট্রাক বোঝাই করে মালামাল নিয়ে যাওয়া যায় না। জয়পুরহাট ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জামিরুল ইসলাম বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কারণে শহরে যানবাহনের চাপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যা সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, সড়কটি চিনিকল কর্তৃপক্ষের হওয়ায় কোনো নম্বর নেই। আমাদের সড়কগুলোতে কোড নম্বর থাকে। এ সড়কের কোড নম্বর না থাকায় সংস্কারের উদ্যোগ আমরা নিতে পারছি না। চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান বলেন, সড়কটি সংস্কার করার মতো অর্থ আমাদের নেই। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর