শিরোনাম
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে দেড় বছরে ৩৬ খুন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে দেড় বছরে ৩৬ খুন

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা ফজলে হক রাতে যান ছেলে গোলাম আজমের ঘরে। মশারি টানিয়ে দিতে গেলে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে ছেলে গোলাম আজম। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান বাবা ফজলে হক। এ ঘটনায় আটক হয়েছে ছেলে গোলাম আজম। ছেলের হাতে বাবা খুন হওয়ার এ ঘটনায় যেন শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এ ঘটনা শুধু ফজলে হকের বাড়িতে নয়, জেলাজুড়ে রয়েছে এমন অনেক হত্যাকান্ডের ঘটনা। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো খুন হওয়ার পেছনে পাঁচ  কারণ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উল্লেখযোগ্য পাঁচটি কারণে ঘটছে হত্যাকান্ডের ঘটনা। এর মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, অপহরণ, শিশু ধর্ষণ, জমি নিয়ে বিরোধ ও মাদক। জেলা পুলিশ দফতরের পাওয়া তথ্য মতে, গত দেড় বছরের মধ্যে ২০২২ সালে ২১টি ও চলতি বছরের ৬ মাসে ১৫টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে অধিকাংশ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করে আসামিদের পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক অনেক সমস্যার কারণে অনেকেই ঘটাচ্ছেন এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা। অনেকে আবার নেশা করে এসে পরিবারের লোকদের ওপর করছেন অত্যাচার। একটা সময় নেশায় আশক্ত হয়ে করছেন হত্যাকা । কেউ কেউ আবার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘটাচ্ছেন হত্যাকান্ডের ঘটনা। চলতি বছরের ২৪ মে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আকরামুল হক নামে এক যুবককে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলসহ অপহরণ করে। পরে অপহরণের মুক্তিপণের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় আকরামুলকে। এক পর্যায়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে বোঁচাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে সম্পত্তির লোভে ২০২৩ সালের মে সদর উপজেলার মাদারগঞ্জে মুরাদ হোসেন (১১) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছেন পুলিশ। পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন অপরাধের ধরন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ কিছুটা ব্যক্তি স্বার্থে অপরাধে জড়াচ্ছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠী কাউকে হত্যা করছে এমন ঘটনা কমই আছে। তবে অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা, নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ সব সময় কাজ করছে। যে কোনো খুনের ঘটনা ঘটলে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর