মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঐতিহ্যবাহী পাটকেলঘাটা বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

ঐতিহ্যবাহী পাটকেলঘাটা বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

খানাখন্দে বেহাল পাটকেলঘাটা বাজারের সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কপোতাক্ষ নদের তীরে গড়ে ওঠা সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য কেন্দ্র পাটকেলঘাটা বাজারটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে উন্নয়নবঞ্চিত। এ বাজারে ছোট-বড় ২ হাজার ২০০ দোকান রয়েছে। আছে জনতা, অগ্রণী, রূপালী, সোশ্যাল ইসলামীসহ বেশকিছু ব্যাংকের এটিএম বুথ। সরকারি ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়, তালা উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামের অবস্থানও এখানে। দুটি স্কুল, দুটি মাদরাসা ও একটি কলেজসহ অসংখ্য মিল-কলকারখানা রয়েছে এখানে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাজারে সপ্তাহে দুই দিন (বুধ ও শনিবার) হাট বসে। প্রতি হাটবারে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ বাজারের অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। তখন কাদা-পানিতে দাঁড়িয়ে কেনা-বেঁচা করতে হয়। সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার চললেও এর ছোয়া লাগেনি পাটকেলঘাটা বাজারে। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত পুরনো এ বাজার উন্নয়নে উদাসিন স্থানীয় এমপিসহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সরেজমিন দেখা যায়, বাজারের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ রাস্তা মোড় থেকে শুরু করে সব সড়কের বেহাল দশা। এসব সড়কের কোথাও পিচ ও ইট উঠে এক থেকে দেড় ফুট গর্ত হয়েছে। পণ্য নিয়ে কোনো যানবাহন ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। খানাখন্দের কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ ভেঙে ঘটছে দুর্ঘটনা। বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মোড়ের সংযোগ সড়কে হাঁটুপানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকায় ১ জুলাই সুরকি ও মাটি ফেলে সংস্কার করেছেন। দোকানি আমিনুর মড়ল ও বাবু হুজুর জানান, এতিহ্যবাহী এ বাজারে অবস্থিত তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি বছর প্রায় হাটের ইজারা দেওয়া হয় কোটি টাকা। এ ছাড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য এডিপি, এলজিএসপি, টি-আর, কাবিখা, হাট-বাজার ইজারা, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিলসহ বিভিন্ন খাতের বরাদ্ধ আসে। সেই বরাদ্দ দিয়ে বাজার ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হলে মানুষের ভোগান্তি থাকত না। স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন সানা, রুস্তম আলী, নাসির উদ্দিনসহ এলাকবাসী জানান, সরকারি বরাদ্দ লুটপাটের কারণে পাটকেলঘাটা বাজারসহ এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাইর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় এ ভোগান্তি কমছে না। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমার বিরুদ্ধে দুদকে ও ডিসি অফিসে পরিষদের সদস্যরা যে অনিয়মের অভিযোগ করেছিল ম্যাজিস্ট্রেট তার তদন্ত করেছেন। এর মধ্যে দুটি কাজের সভাপতি আমি নিজে। সেই কাজ দেখে তিনি (ম্যাজিস্ট্রেট) সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, বাংলা ১৪২৮ সালসহ দুই বছরে হাটের ইজারার ২ লাখ টাকা আছে। তা দিয়ে অচিরেই বাজারের তিনটি ড্রেন তৈরি করা হবে। এমপি স্কুলের রাস্তা সংস্কারে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আরও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলে বাজারের সব রাস্তা সংস্কার করা হবে।

সর্বশেষ খবর