শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

লালমনিরহাটে খরায় পুড়ছে আমন খেত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে খরায় পুড়ছে আমন খেত

খরায় পুড়ছে লালমনিরহাটের আমনসহ বিভিন্ন ফসলের খেত। জমিতে লাগানো আমন চারা বাঁচাতে এখন কৃষকের ভরসা ভূগর্ভস্থ পানি। বর্ষানির্ভর আমন চাষে অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিতে খরচ বাড়ছে কৃষকের।

অনেক কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র লাগিয়ে খেতে পানি দিচ্ছে। লালমনিরহাটের ফুলগাছ ব্লকের কৃষক হযরত আলী বলেন, খরার কারণে আমনের জমি বাধ্য হয়ে সেচ দিচ্ছি। একই গ্রামের সাহেব আলী বলেন, তার আমন ধানের জমির মাটিতে রস নেই। বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নেই। বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রই এখন একমাত্র ভরসা। জেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী, মহেন্দ্রনগর, গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ধান খেতে সেচ দিতে ব্যস্ত। বিশেষ করে দোআঁশ ও বেলে মাটির ফসল খরায় পুড়ে যাচ্ছে। অনেকে তিন-পাঁচবার করে সেচ দিয়েছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আদিতমারি উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মরে যাচ্ছে সবজি চারা। সেচ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় ফুল শুকিয়ে ঝরে যাওয়ায় কমছে উৎপাদন। কৃষকরা বলছেন, ৫০ বছরে জুলাই মাসে এমন খরা দেখেননি তারা। কমলাবাড়ি গ্রামের কৃষক শশী চন্দ্র বলেন, গত বছর বৃষ্টির কারণে ভালো ফলন হয়েছে। এবার খরায় গাছ মরে যাচ্ছে। একই গ্রামের পরেশ চন্দ্র জানান, ৩০ শতক জমিতে করলার চারা রোপণ করলেও খরার কারণে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। টানা খরায় ধান ও সবজি খেতে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। ঘন ঘন স্প্রে দিয়েও দমন হচ্ছে না পোকামাকড়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ৮০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও জুলাই মাসে হয়েছে মাত্র ৩২ মিলিমিটার। তাও সব স্থানে হয়নি। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, খরা মোকাবিলায় কৃষিবিভাগ ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ ছাড়াও চরাঞ্চলের কৃষকদের ফিতা পাইস সরবরাহের উদ্যোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর