ফেনী পৌরসভার আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পৌরসভা চত্বর থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড নিয়ে ও ঢাক-ঢাল বাজিয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্বরে এসে শেষ হয়। ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার ও কর্মরত এনজিওগুলোর সার্বিক সহযোগিতায় র‌্যালিতে ফেনীর সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ ফেনীর সাধারণ মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রার শুরুতে প্রতীকী ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।। ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ। এ সময় নিজাম হাজারী বলেন, শুধু পাঠ্যবই পড়লে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার পরিপার্শ্বিক শিক্ষা। আমাদের আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও শিক্ষার অংশ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে কখনো ডেঙ্গু বিস্তার হবে না। তার জন্য চাই সবার সচেতনতা। এ শোভাযাত্রার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে তুলবে। জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ডেঙ্গু মশাকে প্রতিহত করতে যা যা করার দরকার সবকিছু করতে হবে। ঢাকায় ডেঙ্গু অনেক বেড়েছে। ফেনীতে ৩৭ জন রোগী আছে, এ সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গুমুক্ত ফেনী গড়তে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, পৌরবাসীকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু পৌরসভার ওপর নির্ভর করলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। সবার নিজ নিজ উদ্যোগে আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। তাহলেই ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করবে না এবং আমরা সবার শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারব।

এ সময় সচেতনতা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শপথ গ্রহণ করেন। ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এস আর মাসুদ রানা, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষক সমিতির সভাপতি জি এম তাজউদ্দিন পলাশসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।