মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকারি হাসপাতালে সেবা ব্যাহত

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্ব বণ্টন ও আবাসিক চিকিৎসকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এর জেরে তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছেন এক আবাসিক চিকিৎসক। গতকাল সকালে এ ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রায় দেড় ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে সদর থানা পুলিশ। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, সকালে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের তিন চিকিৎসক আমার কক্ষে আসেন। এ সময় তারা বলেন, তিন দিন বহির্বিভাগের রোগী দেখবেন এবং তিন দিন বৈকালিক সেবা দিবেন।

আমার কাছে মনে হয়েছে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীরা চিকিৎসক না পেলে অসন্তোষ হবেন। আমি তখন বলেছিলাম বহির্বিভাগ সপ্তাহে ছয় দিনই খোলা রাখা হোক, আর বৈকালিক সেবা প্রয়োজনে কমিয়ে করতে। তখন তারা বললেন আগে যেভাবে চলে আসছিল সেভাবেই আমরা করব, আপনার কথা আমরা মানব না। তখন চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ উচ্চবাচ্য করলে আমি বেয়াদব বলি। এ কথা বলার পর সে আমার দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে বাইরে চলে যায়। এর আগে, চলতি মাসে আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় তাদের বেতন বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে দুজন ক্ষুব্ধ ছিলেন। আজকের ঘটনার পর চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ ওই দুইজন আরএমও-এর কাছে যান। রানা নূরুস শামস ও ওবায়দুল্লাহসহ তিন চিকিৎসক আবার আমার কক্ষে আসেন। রানা নূরুস শামস আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন এবং হুমকি দেন। পরবর্তীতে অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিং করেন। এরপর তারা বাইরে থেকে সিসি ক্যামেরার লাইন বন্ধ করে আবার কক্ষে আসেন। এ সময় আরএমও রানা নূরুস শামস জানান, আমি তাদের হয়রানি করি এবং তারা আমার আদেশ মানবেন না। আমি বিষয়টি আমার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান নিজের খেয়াল খুশি মতো হাসপাতাল চালাচ্ছেন। যাকে ইচ্ছা শোকজ চিঠি দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ গালিগালাজ করেন। তিনি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত জেলার বাইরে যান। আমরা উনার অধীনে আর কাজ করব না। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে। চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ বলেন, দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে কথা বলার সময় তত্ত্বাবধায়ক সাহেব আমাকে বেয়াদব বলেছেন। তিনি এ কথা বলতে পারেন না। আমি বিষয়টি সহকর্মীদের জানাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন বলেন, বিষয়টি চিকিৎসকের নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়।

 

সর্বশেষ খবর