মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের আট বছর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের আট বছর

আনন্দঘন পরিবেশে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের আট বছর পার হল। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে মিলিত হয়। অন্যদিকে ভারতে যুক্ত হয় বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল। এতে মুক্তি মিলে ৬৮ বছর ধরে বন্দি জীবন কাটানো মানুষদের। এরই মধ্যে ধারাবাহিক নানা উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দারা। দিবসটি স্মরণে রাখতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। সোমবার ৩১ আগস্ট কর্মসূচির মধ্যে দাসিয়ারছড়া বাজার-সংলগ্ন বিদ্যালয় মাঠে রাত ৮টায় আলোচনা সভা, আনন্দ আয়োজন ও রাত ১২টা ১ মিনিটি ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বালন ও কেককাটা অনুষ্ঠান রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি ও খেলাধুলা ও সাফল্য অর্জন করা দাসিয়ারছড়ার শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। দেশের সবচেয়ে বড় অধুনালুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় আট হাজার এবং জমির পরিবার ১ হাজার ৬৪২ একর। ছিটমহল বিনিময়ের আট বছরে সরকারি প্রচেষ্টায় জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এই অধুনালুপ্ত ছিটমহলবাসীর। শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিসহ নাগরিকত্বের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ বন্দিজীবন কাটানো এসব মানুষ। বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সুফল ভোগ করা বিলুপ্ত ছিটবাসীরা জানান, তাদের অতীত ও বর্তমান অনুভূতির কথা। বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে এখানকার বাংলাদেশ কিংবা ভারতের কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা পায়নি। এককথায় বন্দি জীবন কেটেছিল। কিন্তু ছিটমহল বিনিময়ের এই আট বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মের সুবিধাসহ সব কিছুই পেয়েছি। আমরা বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সর্বশেষ খবর