মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাত

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধান সড়ক দিয়েই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ লাঘবে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সড়ক বিভাগ। সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস থেকে শুরু করে হরিশপুর বাইপাস পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে চলছে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য। রাস্তার দুই পাশ দখল করে আটকে দেওয়া হয়েছে হাঁটার পথ। স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, সারাক্ষণই লেগে থাকছে জট। শুধু তা-ই নয়, দোকানের ফাঁকে ফাঁকে অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা হচ্ছে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কারসহ নানা যানবাহন। দীর্ঘ সময় পার হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। চলতি বছরের গত ২৩ জানুয়ারি নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসনের পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও সাত দিনের মধ্যে দখল হয়ে যায়।

নাটোর শহরের প্রধান সড়কের হরিশপুর বাইপাস থেকে বনবেলঘড়িয়া বাইপাস পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে ফুটপাত নির্মাণ করে সড়ক বিভাগ। এর মধ্যে চকরামপুর, মাদরাসা মোড়, কানাইখালী, ট্রাফিক মোড়, স্টেশন বাজার ও চকবৈদনাথ এলাকার ৪ কিলোমিটার অংশ দখল করেছে ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতের ওপর স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে চলছে ব্যবসা। এমনকি টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে যাতায়াত। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে পথচারীদের। পথচারীদের অভিযোগ, ফুটপাত দখল হওয়ায় মূল সড়ক দিয়ে হাঁটা চলা করতে হচ্ছে। ফলে আমরা প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এরই মধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। দ্রুতই জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।’ সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। আর শেষ হয় চলতি বছরের জুন মাসে। প্রকল্পে ব্যয় হয় ৭৮ কোটি টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর