শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

৮০ টাকায় কাঁচা মরিচ

হিলি প্রতিনিধি

সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৬০ টাকা। দুই দিন আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি সবজি বিক্রেতার দোকানেই শোভা পাচ্ছে দেশি কাঁচা মরিচ। দোকানগুলোতে মরিচের বেশ সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। যার কারণে দাম খানিকটা কমতির দিকে। এতে বেচাকেনাও বেশ লক্ষ্য করা গেছে দোকানগুলোতে। হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা নূরে আলম বলেন, এবারে মরিচের দাম নিয়ে যা হয়েছিল তা আমার জন্মে কখনো এমন দেখিনি।

কী কথা এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম হিলির মতো জায়গাতেই ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছিল, কোথাও কোথাও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বাড়তি দামের কারণে কেনা তো দূরের কথা বাজারে কাঁচা মরিচের দিকে তাকাতেই যেন ঝাঁজ লাগছিল। বর্তমানে অবশ্য সেই অবস্থা থেকে সরে এসে দাম কমে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। দাম কমার কারণে এখন কিছুটা হলেও কাঁচা মরিচ কিনে খেতে পারছি। দাম যেন এমনই থাকে তাহলে আমাদের মতো মানুষ মরিচ কিনে খেতে পারবে। মরিচ কিনতে আসা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, কাঁচা মরিচের ঝাঁজ অনেকটাই কমে গেছে এখন। আমরা মরিচ কিনতে পারছি বা কেনার সাহস করতে পারছি। যে মরিচ দুই দিন আগেও ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ছিল সেই কাঁচা মরিচ এখন দাম কমে ৮০ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, তীব্র খড়া ও অনাবৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের ফুল ঝরে পড়ে যাওয়ায় এবং খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে দেশের বাজারে পণ্যটির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমার কারণে দাম বাড়তে বাড়তে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এতে মরিচের দামের যে ঊর্ধŸমুখি সেটি কমতে শুরু করে। কিন্তু ভারতে দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত মরিচের দাম খুব একটা কমছিল না। এতে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার ওপরেই ছিল। যদিও হিলি বাজারে আমদানিকৃত মরিচের সরবরাহ তেমন ছিল না, তাই দেশি কাঁচা মরিচ দিয়েই চাহিদা মেটানো হতো। সম্প্রতি আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেত থেকে নতুন করে কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করেছে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। দুই দিন আগে মোকামে যে মরিচ আমরা ১০০ থেকে ১২০ টাকা ক্রয় করেছিলাম, বাজারে যা প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু মোকামে সরবরাহ বাড়ার কারণে আজ সেই মরিচ কিনেছি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিদরে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ ও লাভ মিলিয়ে  ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছি। সরবরাহ এমন থাকলে দাম আপাতত বাড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, কেউ যেন অহেতুক কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। নিয়মিতভাবে বাজারগুলোতে পরিদর্শন করা হচ্ছে এবং দোকানদের নিকট ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ চেক করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অহেতুক মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণ হলে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর