বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নাটোর বিএনপির দাবি

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীর ওপর হামলাকারী আত্মস্বীকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল সকালে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত সোমবার ভোরে জনসমাবেশ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে নিজ বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ। পথে তাকে রাস্তায় ফেলে হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এমপি শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার চিহ্নিত সহচরেরা এ হামলা চালান। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ ব্যক্তিকে বিনা কারণে আহত করে রাজনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এমপি নিজে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারপিটের হুকুম দিয়েছেন।

কার্যালয়ের সামনে এসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দেখামাত্র মারপিট করার হুকুম দিয়েছেন, যা নাটোরের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম ও তার প্রতিপক্ষ শরিফুল ইসলাম দুটি পক্ষ (গ্রুপ) গঠন করে সহিংসতার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। নাটোরকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সহিংস রাজনীতি পরিহার করে শান্তিপূর্ণ, অহিংস রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের জন্য ভালো হবে না। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’ এ সময় তিনি বলেন, আজকে সন্ত্রাসী কর্মকা করে মানুষকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে তা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ। শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এতে আইনের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষ বাঁচার তাগিদেই রুখে দাঁড়াবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, শুধু রহিম নেওয়াজ নয়, আমাকেও তারা হত্যার জন্য আক্রমণ করে তার দায় স্বীকার করেছিল। তার পরও তখন কোনো ব্যবস্থা হয়নি বলেই আজ রহিম নেওয়াজের ওপর এমন হামলা হলো। নাটোর গতকাল সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে অবিলম্বে। এর অবসান হওয়া দরকার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ শহরজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সন্ত্রাস এবং রাহাজানির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীকে কে কতটা নির্যাতন করতে পারে সেটাই মনে হয় তাদের মনোনয়নের পূর্বশর্ত। এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলাসহ একের পর এক বিএনপি নেতাদের ওপরে হামলা করছে। সংসদ সদস্য শফিকুলকে হুঁশিয়ার করে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ির ফল ভালো হবে না। পরিস্থিতি খারাপ হলে আপনি কানাডায় বেগমপাড়ায় চলে যাবেন। কিন্তু যাদের দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করাচ্ছেন, তাদের কী হবে? ভুলে যাবেন না, আমরা একই শহরের বাসিন্দা। একজন পিতার বয়সী মানুষকে ছেলের বয়সী তরুণদের দিয়ে পিটিয়েছেন। এটা কোন রাজনীতি?’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর