বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আশ্রয়ণ প্রকল্প বদলে দিয়েছে গৃহহীন মানুষের জীবন

বোয়ালমারী প্রতিনিধি

আশ্রয়ণ প্রকল্প বদলে দিয়েছে গৃহহীন মানুষের জীবন

আশ্রয়ণ প্রকল্প বদলে দিয়েছে ঘরহীন মানুষের জীবন। যেখানে আগে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর চিন্তায় অস্থির থাকতেন ঘরহীন মানুষ, এখন তারা অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। কেউবা জীবনের গতিপথ বদলাতে করে চলেছেন নিরন্তর সংগ্রাম। ছয় মাস আগেও নিজের কোনো আশ্রয় ছিল না এসব মানুষের। থাকতেন অন্যের বাড়িতে কিংবা পথে ঘাটে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়হীণ এসব মানুষ পান এসব ঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে জীবন বদলে যাচ্ছে তাদের। চোখে মুখে স্বপ্ন; সংসারে সচ্ছলতা আনতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তারা। তারা জানান, আগে অনেক কষ্টে ছিলাম। সেসব কথা মনে পড়লে আমার কান্না পেয়ে যায়। আগে থাকতাম একজনের বারান্দায়। জীবন যুদ্ধের এসব গল্প তো ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ডোবরার, অমৃতনগর, ফেলাননগর, সৈয়দপুর, হাসামদিয়া, বাইখির, চাপলডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের। সারা উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয় পাওয়া এমন অনেক গল্প রয়েছে। বোয়ালমারীর শাহাদতের নিজের কোনো জমি ছিল না। সৈয়দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এখন পেয়েছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার আশ্রয়। আগে তো মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। এখন স্বপ্ন দেখছেন জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের। সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া ফাতেমা আরও জানান, এখানে আসার পর আমি সেলাই মেশিন কিনেছি,  ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে নিরন্তর চেষ্টা। তারা এ ঘরগুলো পেয়ে ভীষণ খুশি, এ জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক এ উদ্যোগের জন্য তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।  চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বোয়লমারী উপজেলায় ৪১৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০টি তৃতীয় পর্যায়ে ৫২টি ও চতুর্থ পর্যায়ে ৭০টি ঘরহীন মানুষকে ঘর হস্তান্তর করা হয়। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোশারেফ হোসাইন বলেন, সরকারি খাস জায়গায় ২ শতাংশ জমি ও নির্মিত একটি ঘর বিনা মূল্যে প্রতিটি উপকার ভোগীকে দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর