বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

তদন্ত শুরু চিকিৎসকদের বিরোধের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামানের সঙ্গে আবাসিক চিকিৎসকদের বিরোধের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এদিকে চিকিৎসকদের এ বিরোধের ঘটনায় দফায় দফায় বৈঠকের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। এ ঘটনায় রোগীসহ স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের দুই আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস্ ও ফাইজুর রহমান ফয়েজের বিরুদ্ধে সরকারি সেবা বন্ধ রেখে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাকটিসের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় চলতি মাস থেকে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বেতন বন্ধ রাখার সুপারিশ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান। এ ছাড়া চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। এজন্য তাঁকেও সতর্ক করেন তত্ত্বাবধায়ক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই আবাসিক তিন চিকিৎসক রানা, ফয়েজ এবং ওবায়দুল্লাহ গতকাল তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন।

 এ সময় কৌশলে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এ ঘটনার পর গতকাল সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তাঁরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে তদন্ত কার্যক্রম চলার কারণে গতকাল হাসপাতালে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। এতে ভোগান্তি পোহান রোগীরা। চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, ‘তদন্ত দল মঙ্গলবার সকালে কার্যক্রম শুরু করেছে। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে লিখিত উত্তর নিয়েছেন। চট্টগ্রাম ফিরে গিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’ ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমার সঙ্গে তিন চিকিৎসকের অসৌজন্যমূলক ঘটনার কারণে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিনিধি দলটি রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করবে। তদন্ত দল চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছে, আমার সঙ্গেও কথা বলেছে। প্রয়োজনে আরও বলবে।’

সিভিল সার্জন ডা. মো. একরামউল্লাহ বলেন, ‘তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তাঁরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন, এ সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর