বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরে যুক্ত হচ্ছে ছয় জলযান

বাগেরহাট প্রতিনিধি

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামালাতে রাজধানীর সব থেকে কাছের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলায় এবার যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক ছয়টি জলযান। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ৭৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব জলযান কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের শেষ দিকে বন্দরে আসবে হংকংয়ের চিউলি শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি টাগবোট। বাকি চারটি জলযান আসবে আগামী বছরের জুনে। সেগুলো বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে সার্স অ্যান্ড রেসকিউ ভ্যাসেল তৈরি হচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ডে, আর বাকি তিনটি তৈরি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের কর্ণফুলী শিপইয়ার্ডে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) কমান্ডার মোমেন উল্লাহ মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমরা মোংলাকে আধুনিক করতে চাই। সেজন্য এ পদক্ষেপ।

বন্দরের এ কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলার ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক এ জলযান কেনার জন্য ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছয়টি জলযান হচ্ছে- পাইলট মাদার ভ্যাসেল একটি, দুটি টাগবোট, একটি সার্স অ্যান্ড রেসকিউ ভ্যাসেল (উদ্ধারকারী জাহাজ), একটি সার্ভে অ্যান্ড রিসার্স ভ্যাসেল ও একটি বয়লিং ভ্যাসেল। পাইলট মাদার ভ্যাসেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৯১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ জাহাজটি বন্দরে যুক্ত হলে মাদার ভ্যাসেল থেকে পাইলট ও বিদেশি নাবিকদের জাহাজ থেকে নদীর তীরে আনা-নেওয়া আরও সহজ হবে। এ ছাড়া জাহাজটির মাধ্যমে প্রয়োজনে বন্দরের নিরাপত্তার জন্য টহল দেওয়া সম্ভব হবে। টাগবোট দুটির জন্য ব্যয় হচ্ছে ২৩৩ কোটি ৩৮ লাখ। উদ্ধারকারী জাহাজ সার্স অ্যান্ড রেসকিউ ভ্যাসেল কেনায় ব্যয় হচ্ছে ১১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অত্যাধুনিক এ জাহাজ দিয়ে সমুদ্রে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ খুঁজে বের করা এবং জাহাজের নাবিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্ধার করা যাবে। সার্ভে অ্যান্ড রিসার্স ভ্যাসেলটি বন্দর সংশ্লিষ্ট গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে। সার্ভে অ্যান্ড রিসার্স ভ্যাসেলটি কেনায় ব্যয় হয়েছে ১১৩ কোটি ৪৪ লাখ। এ ছাড়া ১২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় কেনা অত্যাধুনিক বয়লিং ভ্যাসেলটির মাধ্যমে বন্দর চ্যানেলে বয়া স্থাপন ও বিভিন্ন সিগন্যাল দেওয়া যাবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী জানান, ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক ছয়টি জলযান বন্দরে সংযুক্ত হলে সক্ষমতা কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তখন মোংলা বন্দরের আমদানি-রপ্তানির চাপ সহজেই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর