শিরোনাম
বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাস থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থী এক যাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে ওই ছাত্রীকে ভাঙ্গা পৌর সদরের কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় প্রচেষ্টা পরিবহনের হেলপার, রাকিব মাতুব্বর ইমন (২৪), বাসের সুপার ভাইজার ও আসিফ সরদার (২১) এবং রাকিব মাতুব্বরের মা লিলি বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা  করেছেন। অন্যদিকে ওই ছাত্রীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিত ওই ছাত্রীর দুলাভাই বলেন, আমার শ্যালিকা আমার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে।

 সেখানের একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে। আমার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায়। গত রবিবার বিকালে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তাকে আমরা একাকি ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের ওপর থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে তুলে দিই। ওই সময় আমরা ওই গাডটির নম্বর এবং সুপারভাইজার ও হেলপারের মোবাইল নম্বর রাখি। তাদের অনুরোধ করি, তাকে ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে। ভাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আমার শ্বশুর এবং তার সঙ্গের লোকজন। কিন্তু মেয়েটি না পৌঁছায় আমার শ্বশুর আমাকে ফোন করে জানায়। আমি তাকে ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে বলি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাত ৩টার দিকে আমরা ভাঙ্গা থানায় তার নিখোঁজের ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানাই। সোমবার সকালে আমার ভায়রা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা ওই বাসটিকে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে বাসটি শনাক্ত করি এবং ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় আটক করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসি। ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জুয়েল মিয়া জানান, আটক সুপারভাইজার আসিফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বর্ণনা মতে ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী এলাকা থেকে ওই বাসের হেলপার রাকিব ও তার মা লিলি বেগমকে আটক করি এবং ওই ছাত্রীকে রাকিবের বাসা থেকে উদ্ধার করি। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। অন্যদিকে মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর