শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আশ্রয়ণের ঘরে দিন ফিরেছে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

আশ্রয়ণের ঘরে দিন ফিরেছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে দিন ফিরেছে জাবেদা, অপেলা, রুমিসহ অনেকের। ৮০ বছরের জাবেদা বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ঘরে বসবাস করছেন। এক সময় থাকার মতো জায়গা ছিল না জাবেদার। স্বামী তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। স্বামী-সন্তান ও বসতভিটাহীন জাবেদার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। জীবিকার তাগিদে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে অন্যের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে জাবেদা জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তিনি একটি পাকা ঘর পাচ্ছেন। শেষ বয়সে জাবেদা ঠাঁই পেয়েছেন বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ঘরে। জাবেদা বলেন, শেখ হাসিনা পাকা ঘর দিয়েছেন। এখন নিজের ঘর আছে। আমি খুব খুশি। এই আশ্রয়ণে বসবারত অপেলা বেগম জানান, স্বামী হারিয়ে সন্তান নিয়ে কোনোমতে দিন কাটে তার। উপহার হিসেবে ঘর পেয়ে আবার নতুন করে সংসার পেতেছে এই পরিবার। শুধু অপেলা নয়, তার মতো রুমি, হাবিলসহ উপহারের ঘর পাওয়া হাজারো মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, দুই শতাংশ জায়গাসহ সেমিপাকা একটি ঘর করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আছে রান্নাঘর, টয়লেট, আর্সেনিকমুক্ত পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ। বাড়ির আঙিনায় রয়েছে হাঁস-মুরগি পালনসহ শাকসবজি চাষের সুব্যবস্থা। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় ৮৩৫ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক জানান, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোঁজার আশ্রয়স্থল গড়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বাস্তবায়ন করে চলেছেন। মাথা গোঁজার ঠিকানা পেয়ে খুশি আশ্রয়ণের বাসিন্দারা। সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তিতে। বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবেন না। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বগুড়ায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে তৈরি মোট ঘর ৫ হাজার ৫টি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর