রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড় ধসের আশঙ্কা পানিবন্দি ২০ পরিবার

পার্বত্যাঞ্চলে টানা বৃষ্টি

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড় ধসের আশঙ্কা পানিবন্দি ২০ পরিবার

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার রূপনগরসহ কয়েকটি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার ২০টি পরিবার।

জানা গেছে, তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে রূপনগর, গাউছিয়া নগর, আনন্দনগর এলাকার বহু পরিবার জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও ড্রেনেজ ব্যবস্থা কিংবা পানি সরানোর উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখব। এদিকে মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা এলাকার ১০ জন চাষি চলতি মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে ১ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি খেতে ফলন আসতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে তরমুজ চাষিরা। উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আছাদতলী এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা দিদারুল আলম বলেন, ফসলি জমি নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। দিদারুল আলম বলেন, ‘মুলা ও তরমুজ খেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় পানি নিষ্কাশন করেও লাভ হচ্ছে না। পানি জমে থাকায় তরমুজ গাছ মারা যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ এদিকে  রাঙামাটিতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত দিয়ে নামছে কাপ্তাই হ্রদে পানি। পাহাড়ি ঢলে কিছুটা উত্তাল হ্রদ। যানমালের নিরাপত্তায় কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, অতি বৃষ্টিতে যেমন পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। তেমনি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচলে বিপদের শঙ্কা আছে। পাহাড়ে বসবাসরতদের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। আর কাপ্তাই হ্রদের নৌপথে রয়েছে পাঁর উপজেলায় যাতায়াত। এসব উপজেলার মানুষকে লঞ্চ কিংবা ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাতায়ত করতে হয়। তাদের নিরাপত্তায় উজান থেকে ঢল নামা পর্যন্ত অর্থাৎ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাহাড়বাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাহাড়ে করা হচ্ছে মাইকিং। ঘরে ঘরে গিয়ে করা হচ্ছে সতর্ক। জেলা ও উপজেলা মিলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে আছেন। রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস বলছে, অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে আরও কয়েকদিন।

সর্বশেষ খবর