লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বস্তা পরিবর্তন করে সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে এক গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। উপজেলার চৌধুরী মোড় এলাকার মেসার্স অলিয়ার ট্রেডার্সের গুদামে গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুফলভোগীদের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে কার্ডপ্রতি ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হয় নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে। একইভাবে ভিজিডি কার্ডধারীদের মধ্যেও ৩০ কেজি হারে চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এ চাল সুফলভোগীদের কাছে বিক্রি না করে কৌশলে কালোবাজারে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ী। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্য অধিদফতরের সিলমোহরযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে অন্য চাল আড়তের সিলমোহরের বস্তায় প্যাকেট করে বাজারে সরবরাহ করছে। মেসার্স অলিয়ার ট্রেডার্সের গুদামে গিয়ে দেখা যায় শত শত সরকারি চালের বস্তা। তা পরিবর্তন করে ২৫ কেজি ওজনের দিনাজপুরের চিতাবাঘ মার্কা গুটি স্বর্ণা নামে প্যাকেট করা হচ্ছে। প্যাকেট শেষ হলে দ্রুতই তা চলে যাচ্ছে বাজারে। অলিয়ার ট্রেডার্সের মালিক অলিয়ার রহমান বলেন, সরকারি এসব চাল কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন ভাইয়ের। শুধু আমি নই, বেশ কিছু গুদামে দেওয়া আছে এ চাল। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই গুদাম মালিককে চিনি না। কালীগঞ্জের ইউএনও জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জানার পর গুদামগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় কোনো সরকারি চাল ও বস্তা পাওয়া যায়নি।