সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাট জাগ দিতে পুকুর ভাড়া গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ

নাটোর প্রতিনিধি

পাট জাগ দিতে পুকুর ভাড়া গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ

নাটোরের গুরুদাসপুরে পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বাধ্য হয়ে তারা পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে প্রতি বিঘা জমির পাট জাগে তাদের দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। গুরুদাসপুর কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, উপজেলায় এবার ১৪ হাজার চাষি ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায় চাষিরা পাট পচানো নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পাট পচাতে বিকল্প রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী নন। কৃষক আলাল উদ্দীন ও ফজের আলী জানান, জমিতে পাট শুকিয়ে গেলেও পানির অভাবে কাটছেন না। অনেকে পাট জাগ দিতে পুকুর-ডোবা ভাড়া নিচ্ছেন। বাড়তি খরচ হলেও অনেক চাষি দূরে খাল, বিল, নদী-নালা, ডোবায় নিয়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। পানি সংকটে পরিবহন খরচ ও পুকুর ভাড়ার জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের। গুরুদাসপুর  পৌর সদরের আনন্দ নগর মহল্লার পাটচাষি মজিবর, ফরহাদ হোসেন জানান, খাল-বিল, জলাশয়ে পানি নেই। পাট কেটে জমিতে গাদা করে রেখেছি। সেখানে রোদে পুড়ে পাট শুকিয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে অনেকে বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকায় পুকুর ভাড়া নিয়ে সেখানে পাট জাগ দিচ্ছেন। তারা আরও জানান, একবিঘা জমিতে পাট চাষের বীজ, সার, বপন, পরিচর্যা ও শ্রমিক খরচ মিলে খরচ হয় প্রায় ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

পানি না থাকায় পরিবহন ও পুকুর ডোবা ভাড়া এবং শ্রমিক বাবদ অতিরিক্ত ৩ হাজার খরচ হচ্ছে। প্রতি বিঘায় গড় উৎপাদন ৮ মণ। প্রতি মণ পাটের বর্তমান বাজারদর ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। ৮ মণের গড় মূল্য ২০ হাজার। এ দামে পাট বিক্রি করলে খরচ উঠলেও বেশি লাভ হবে না বলে জানান তারা।

সর্বশেষ খবর