বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিসিকে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ হয়নি অর্ধেক প্লট

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

বিসিকে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ হয়নি অর্ধেক প্লট

মাদারীপুর বিসিক এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রায় ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় সম্প্রসারিত বিসিক এলাকা নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষ হলেও বরাদ্দ হয়নি অর্ধেক শিল্প প্লট। বরাদ্দকৃত প্লটও খালি পড়ে আছে। যেখানে থাকার কথা শিল্প-কারখানা সেখানে গজিয়েছে ঘাস আর ঝোপঝাড়। ব্যবসায়ীদের দাবি, শিল্প প্লটের দাম বেশি। নেই গ্যাস সংযোগ। এ কারণে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। মাদারীপুর বিসিকের শীর্ষ কর্মকর্তার জানান, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যেই এখানে গড়ে উঠবে কলকারখানা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ১৯৮৭ সালে মাদারীপুরে শিল্পনগরী গড়ে তোলে। ২০১৪ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নের লক্ষ্যে মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ জন্য অধিগ্রহণ করে ২০ একর জমি। শুধু ভূমি অধিগ্রহণ খাতেই ব্যয় হয়েছে ৩০ কোটি ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। শিল্পনগরীর সম্প্রসারিত অংশে ১৮টি ইউনিটে ৪৬টি প্লট করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষে ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল সম্প্রসারিত বিসিক উদ্বোধন করা হয়। কাগজে-কলমে উদ্বোধন হলেও গড়ে উঠেনি কোনো শিল্প কলকারখানা। ৪৬টি প্লটের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে ২২টি। বরাদ্দকৃত ২২টি প্লটও ফাঁকা পড়ে আছে। গড়ে উঠেনি কল-কারখানা। শিল্প উদ্যোক্তাদের দাবি ভূমি উন্নয়ন, রাস্তা, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন, গ্যাস সংযোগ ইত্যাদি সুবিধা না থাকলে কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্লটের দাম অতিরিক্ত হওয়ায় অনেকগুলো এখনো বরাদ্দ হয়নি।মাদারীপুর পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উদ্যোক্তা অলিউল আহসান কাজল বলেন, নতুন বিসিকের শিল্প প্লটের দাম বেশি। নেই গ্যাস, বিদ্যুৎ সুবিধা। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে আগ্রহ নেই। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরীর ভারপ্রাপ্ত এজিএম পার্থ সারথী দাস বলেন, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তাসহ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এই বিসিক। উৎপাদনে যেতে আরও দুই-এক বছর লাগবে।

সর্বশেষ খবর