শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফেরিতে বেপরোয়া ছিনতাইকারী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

ফেরিতে বেপরোয়া ছিনতাইকারী

ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য এমন অভিযোগ তুলে বাঁধন নামে এক যুবককে সম্প্রতি পিটুনি দেন ফেরির যাত্রীরা। জীবনে বাঁচাতে ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর আলোচনা আসে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলন্ত ফেরিতে ছিনতাইচক্রের বিষয়টি। বাধন ছাড়াও চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।  জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ও ফেরিতে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে গাড়ি চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল হারাচ্ছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ রুটে ছোট-বড় ১২টি ফেরি চলাচল করে। প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার যানবাহন পারাপার হয়। পাশাপাশি দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলে ১৯টি। ফেরিতে যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশি পাহাড়া থাকে না। এ সুযোগ নেয় ছিনতাইকারীরা। এ কাজের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। ছিনতাইকারীরা মূলতো লোড হওয়ার আগে ফেরিতে বসে থাকে টার্গেট করে। এরপর ফেরি ছাড়ার সময় ফোন অথবা ব্যাগ নিয়ে লাফিয় চলে যায়। এ ছাড়া চলন্ত ফেরির পাশে নৌকা নিয়ে থাকে একটি দল। অন্য দলটি ফেরিতে ছিনতাই করে দ্রুত নৌকায় ওঠে পড়ে। রাজবাড়ীর বাসিন্দা রাশেদুল রহমান হিমেল ঢাকায় একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। তার আসা-যাওয়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ফেরিতে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার পথে রওনা হই। ফেরি ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এক চাচার মোবাইল ফোন নিয়ে করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশের একজন উপপরিদর্শক বলেন, ফেরিঘাটে বর্তমানে ছিনতাই কমেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে প্রতি মাসে গড়ে ৫০টি হারানো জিডি হতো। বর্তমানে মাসে পাঁচ-ছয়টি জিডি হয় থানায়। ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শুকুর আলি। জুন মাসে মধুখালী আসার সময় দৌলতদিয়ায় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন তিনি। তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ছিনতাই নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।

সর্বশেষ খবর