রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাসড়কের দুই পাশ আবর্জনায় সয়লাব

চরফ্যাশন প্রতিনিধি

মহাসড়কের দুই পাশ আবর্জনায় সয়লাব

চরফ্যাশন-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সড়কে চলাচলকারী ও যানবাহনের যাত্রীরা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ। আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে ময়লার ভাগাড় অপসারণে পৌর মেয়রের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রী ও পথচারীরা নাক-মুখ চেপে মহাসড়কের ময়লার অংশ অতিক্রম করছেন। ভাগাড়ে দৌড়ঝাঁপ করছে কুকুর আর কাক। এতে ময়লা এসে পড়ছে মহাসড়কেও। ময়লার স্তূপ পার করে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করছেন। জানা যায়, চরফ্যাশন পৌর শহরের বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। জনদুর্ভোগের বিষয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা পৌর মেয়রকে ময়লা অপসারণ ও ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য একাধিকবার বললে এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেননি। পৌর মেয়র  মোরশেদ মিয়া বলেন, শিগগিরই ডাম্পিং স্টেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ডাম্পিং করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ময়লা-আবর্জনা থেকে ডেঙ্গু মশার আরও বংশ বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ময়লার দুর্গন্ধ ও রোগ-জীবাণুু পথচারী এবং পরিবহনের যাত্রীদের স্বাস্থ্যে মারাত্মক ঝুঁঁকিতে ফেলছে। ময়লার দুর্গন্ধ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরীন হক বলেন, দ্বীপ জেলা ভোলার একমাত্র আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। প্রধান সড়কের পাশে এভাবে ময়লা ফেলার কোনো সুযোগ নেই। পৌর মেয়রকে নিয়ে শিগগিরই ময়লা অপসারণ এবং ভবিষ্যতে শহরের বাজারের আবর্জনা যাতে সড়কের পাশে না ফেলতে  পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর