সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেফটিক ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকির ভিতর থেকে রাবেয়া বেগম ওরফে রঙ্গ (৩৩) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে সদরপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ জানায়, পিয়াজখালী বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছারের বড় মেয়ে রাবেয়া বেগম ওরফে রঙ্গের সঙ্গে পাশের শিবচর থানার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামের আবদুল মান্নান বেপারীর ছেলে।

 হাবলু বেপারীর (৪৫) সঙ্গে পারিবারিকভাবে আট বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রাবেয়া তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। স্বামী হাবলু বেপারী স্থানীয় পিয়াজখালী বাজারে ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী রাবেয়া সদরপুরের নয়রশি এলাকায় একেকে নামক একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। সংসার জীবনে এ দম্পতির দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে রাবেয়া নিখোঁজ হন। রাবেয়া নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার পর ১২ আগস্ট দুপুরে রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে রাবেয়ার মা তাদের বাড়ির গোয়াল ঘরের পেছনে গেলে বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে রাবেয়ার দুই পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে সদরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটিক ট্যাংকির ভিতর থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী হাবুল বেপারী পলাতক রয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারনা, স্বামী হাবলু শেখের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারে স্ত্রী রাবেয়া। এ কারণেই হয়ত রাবেয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে সে পালিয়ে গেছে। সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন আল রশিদ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর