সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাটগ্রামে খানাখন্দে ভরা ৬ কিলোমিটার সড়ক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

পাটগ্রামে খানাখন্দে ভরা ৬ কিলোমিটার সড়ক

সাত বছরেও সংস্কার না করায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-বুড়িমারী স্থলবন্দর আঞ্চলিক সড়কের ৬ কিলোমিটার অংশ বেহাল। পাটগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিলারবাজার থেকে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী ধরলা সেতু পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। খানাখন্দের কারণে হেলেদুলে চলে গাড়ি। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক বছরে এ সড়কে ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানি হয়েছে একজনের। অথচ সড়কটি দিয়ে তিন ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরে চলাচল করেন। বেহাল সড়কের জন্য প্রতিনিয়ত তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের পিচঢালাই উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কের দুই পাশে ঢালু হয়ে গেছে। পাশাপাশি দুই গাড়ি যেতে পারছে না। উকনিলপাড় ও মাঝিপাড়া গ্রামে দুটি সেতুতে ওঠার মুখেও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বেহাল সড়ক দিয়ে মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা চলাচল করছে হরদম। গাড়ি গর্তে পড়লে যাত্রীরা প্রচন্ড ঝাঁকুনি খান। অন্যদিকে হেলেদুলে চলছে গাড়ি। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী গ্রামের কৃষক বাঘা মিয়া বলেন, তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের হাটবাজারের নিতে হয়। কিন্তু এই ভাঙাচোরা এ সড়কের কারণে ভ্যানচালকরা যেতে চান না। কেউ রাজি হলেও এ জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।  ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে প্রায় তার ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য বেশি মাল নেওয়া যায় না। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম সদর-বুড়িমারী স্থলবন্দর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০ ফুট। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাউয়ামারী বাজার থেকে চিলারবাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি নির্মাণ করা হয়।

 ২০২২ সালের দিকে ওই সড়কের ওপর ২৮৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ  করা হয়। এ সেতু দিয়ে উপজেলা সদর ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ফলে আঞ্চলিক সড়কটি বর্তমানে সদর-বুড়িমারী স্থলবন্দর বাইপাস (বিকল্প) হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই যানবাহনের চাপও বেড়েছে। শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আসলাম প্রধান বলেন, তারা বিভিন্ন সভায় সড়কটি সংস্কারের জন্য বলেছেন। একাধিক আবেদনও দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এলজিইডির পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব-উল আলম জানান, সড়কটির প্রস্থ বাড়িয়ে ১৮ ফুট করা হবে। তখন সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর