শিরোনাম
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ময়নাতদন্তে ‘ডুবে মৃত্যু’ পিবিআই তদন্তে হত্যা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মনির হোসেন (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ গত বছরের নভেম্বরে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। তার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে পানিতে ডুবে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে সেই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড প্রমাণ পায়। হত্যায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতারও করেছে পিবিআই। আরও দুজন পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতাররা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের হাফিজের ছেলে আবদুল কাদের ও রূপপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মাহবুব হাসান রিমন। নিহত মনির রূপপুর পুরানপাড়া গ্রামের রিকশা শ্রমিক হারুনের ছেলে।

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর ১২ নভেম্বর করতোয়া নদী থেকে মনির হোসেনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর নিহতের বাবা হারুন অর রশিদ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পানিতে ডুবে উল্লেখ করা হয়। থানা পুলিশও মৃত্যুর একই কারণ উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদী নারাজির আবেদন করলে বিচারক অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন। শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পানিতে ডুবে উল্লেখ করায় থানা পুলিশও পানিতে ডুবে মৃত্যু হিসেবেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তদন্তে গাফিলতি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে এড়িয়ে গিয়ে গেলেন পুলিশতো তদন্ত সংস্থা নয়, পিবিআই হলো তদন্ত সংস্থা। উচ্চতর তদন্তে আসল সত্য উদঘাটন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার জানান, ময়নাতদন্তে গাফিলতি রয়েছে কি না দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর