শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে

মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছে শত শত ট্রলার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূল উত্তাল হলে জেলার বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছিল শত শত ট্রলার। ভরা মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা। ১২ আগস্ট থেকে সাগর কিছুটা শান্ত হলে মাছ শিকারে নেমে পড়েন উপকূলের জেলেরা। অধিকাংশ ট্রলারে এখন ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আকারও বেশ বড়। সাগর থেকে ট্রলারবোঝাই মাছ নিয়ে হাসিমুখে ফিরছেন তারা। পাশাপাশি রূপচাঁদা, লইট্টাসহ অন্য সামুদ্রিক মাছের পরিমাণও কম নয়।

জেলেরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ার পরই সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় দারুণ খুশি তারা। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ দেখে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও। সাগরে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় ঘাটে ট্রলার ভিড়তেই খালাসে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন শ্রমিকরা। ইলিশ কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে। বুধবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার মৎস্য অবতরণ ঘাটে দেখা যায়, একের পর এক ট্রলার ভিড়ছে। ট্রলারের কোলস্টোর (ইলিশ সংরক্ষণের কোটর) থেকে ঝাঁপিবোঝাই করে ইলিশ বিক্রির জন্য পন্টুনে রাখছেন ঘাট শ্রমিকরা। ফিশারিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকাসহ অন্য জেলায় ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তাই বাড়তি দামে ইলিশ কিনে দ্রুত তা প্যাকেটে ভরে গাড়িতে তুলে দিচ্ছি। আশা করি, ভালো দাম পাব।

ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, সাগর কিছুটা উত্তাল হলেও জীবিকার তাগিদে শত শত ট্রলার গভীর সাগরে মাছ শিকারে নেমে পড়েছে। কিছু ট্রলার মাছ ধরে ঘাটে ফিরতে শুরু করায় অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, গত বছর কক্সবাজার উপকূল থেকে ইলিশ আহরণ হয়েছিল ৪০ হাজার ৩৫৪ টন। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টন। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাগরে পানি বৃদ্ধি পেলে তখন বেশি ইলিশ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। এবার দুই মাস বন্ধ থাকায় মাছের প্রজননও বেড়েছে। আশা করছি, প্রচুর ইলিশ মিলবে।

সর্বশেষ খবর