শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাদারীপুরে চোরের দৌরাত্ম দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে চোরের দৌরাত্ম দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

সম্প্রতি মাদারীপুর শহরের দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে শহরের জার্মান প্লাজায় একই রাতে তিন দোকানে চুরি হয়েছে। নিয়ে গেছে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। শুধু তাই নয় যাওয়ার সময় চোরচক্র নিয়ে গেছে দোকানের সিসি ক্যামেরা। ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালামাল। আটক হয়নি চোরচক্র। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। তবে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি তারা চোরচক্রকে গ্রেফতারের বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে শহরের পুরান বাজার। পুরান বাজারে একাধিক ব্যাংক, বীমা ও হাজারও রকমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বাজারে গত তিন মাসে কমপক্ষে ৫০টি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি শহরের পুরান বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে চোরচক্র। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা টের পেলে পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও শহরের সিটি সুপার মার্কেট, মিয়া বঙ্গ মার্কেট, সাধনা ঔষধালয়সহ একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের দাবি পুলিশের টহল জোরদার না থাকার কারণেই বেড়েছে চুরি। এ ছাড়াও চুরির ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ মামলা নিতেও গড়িমসি করে। এতে করে ক্ষোভ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। তবু এখানে পুলিশের কোনো টহল থাকে না। এতে করে চুরির ঘটনা বেড়েছে, জানমালের নিরাপত্তা না থাকায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দোকানের তালা ভেঙে টাকা পয়সা ও মালামাল নিয়ে গেছে কিন্তু পুলিশ একবারের জন্যও খবর নেয়নি। মালামালও উদ্ধার হয়নি। সিরাজ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমার মোবাইল চুরি হয়েছে অথচ থানায় চুরির মামলা নেয়নি। তাই হারিয়েছে মর্মে জিডি করেছি। মোবাইল উদ্ধার হয়নি। পুরান বাজারের শফিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক দিন আগে সোনালী ব্যাংকে চুরির চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা টের পেলে চোর পালিয়ে যায়। পাশের কয়েক দোকানে চুরি হয়েছে তাই আমরা আতঙ্কে আছি।

তিনি পুলিশের টহল জোরদার করার দাবি জানান। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ার কারণে থানায় আসতে চায় এ কারণে আগে যেগুলো রিপোর্ট হতো না সেগুলো রিপোর্ট হয়। এ কারণে আগের তুলনায় রিপোর্টিংটা বেড়েছে। চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপারের। মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর