রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

খানাখন্দে বেহাল ময়েনদিয়া সড়ক

চলাচলে দুর্ভোগ ঘটছে দুর্ঘটনা

বোয়ালমারী প্রতিনিধি

খানাখন্দে বেহাল ময়েনদিয়া সড়ক

ফরিদপুরের বোয়ালমারী-ময়েনদিয়া সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বোয়ালমারী-ময়েনদিয়া সড়কটি বেহাল দশা অবস্থায়। বোয়ালমারী সদর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাওয়ার সংক্ষিপ্ত এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বোয়ালমারী ময়েনদিয়া সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটিতে খানা-খন্দসহ স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। সংস্কারের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনদের। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করলেও বর্তমানে বেহাল রাস্তায় পরিণত হওয়ায় যান চলাচলেও ভোগান্তিতে পড়েতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ফলে ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন ও মোটরসাইকেল  চালকরা এই সড়কে যাতায়াতকারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া। বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। কাদা পানিতে পুরো সড়ক যেন চাষযোগ্য জমিতে পরিণত হয়। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো ভরে গেছে। রয়েছে কাদাও। নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলছে এ সড়কে। কথা হয় রাস্তার গর্তে আটকে যাওয়া ট্রাকচালক মহব্বতের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি বেহাল অবস্থায়। অনেক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যেই গতকাল ট্রাকটি নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হলাম। রাস্তার পাশেই কলারন গ্রামে রয়েছে গোল্ডেন জুট মিল। সে মিলে প্রতিদিন ১০-১৫টি ট্রাক আসা যাওয়া করে। এ ছাড়া ময়েনদিয়া বাজারে রয়েছে পাটের মোকাম, সেখানেও প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রাক পাট নিয়ে আসা যাওয়া করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালমারী থেকে ময়েনদিয়া পর্যন্ত সড়কটি ৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৩.৫ কিলোমিটার রাস্তা ইতোমধ্যে সংস্কার হয়েছে, বাকি ৩.৫ কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী বোয়ালমারী ও ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা, সালথা, মুকসেদপুর, ভাঙ্গা উপজেলার মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। দ্রুত  সড়কটি সংস্কারে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। এলজিইডির বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী  পূর্নেন্দু সাহা বলেন, ৭ কিলোমিটার সড়কটির ৩.৫ কিলোমিটার সংস্কার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩.৫ কিলোমিটার টেকসই ও মজবুত করার লক্ষ্যে সংশোধিত প্রাক্কলন নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঢাকায় এলজিইডির এডিবি প্রকল্প অফিসে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর