রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাঁপাইয়ে নদনদীতে বাড়ছে পানি, শুরু হয়েছে ভাঙন

বিলীন হয়েছে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইয়ে নদনদীতে বাড়ছে পানি, শুরু হয়েছে ভাঙন

পদ্মার ভাঙনকবলিত সদর উপজেলার নারায়ণপুর এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বাড়ছে। পদ্মা পাড়ের কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পদ্মা নদীতে বিপৎসীমা ধরা হয় ২২ দশমিক ০৫ সে. মি.। বর্তমানে এ নদীতে পানি রয়েছে ২০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে দশমিক ২১ সেন্টিমিটার। যা নদীর ধার্য বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার নিচে। অন্যদিকে মহানন্দার বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এ নদীতে বর্তমানে পানি আছে ১৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় মহানন্দায় পানি বেড়েছে ১৩ সেন্টিমিটার। গত কয়েকদিনে মহানন্দা নদীতে দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া পুনর্ভবা নদীতে বিপৎসীমা ধরা হয় ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে নদীতে পানি রয়েছে ১৭ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মা নদীতে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরপাঁকা ঈদগাহ থেকে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ছাব্বিশ রশিয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের নামোজগন্নাথপুরের পণ্ডিতপাড়া থেকে দোভাগী পর্যন্ত ভাঙন চলছে। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্ট ভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি। পদ্মা তীরবর্তী নিম্নআয়ের মানুষ ভাঙনের ঝুঁকিতে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন জানান, কয়েকদিন ধরে জেলার নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। উজানের ঢল আর বর্ষণে কিছু কিছু এলাকার বিল পানিতে ভরে গেছে। তবে এখনো নদীর পানি বিপৎসীমার নিচেই আছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিবগঞ্জের পাকা, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পুকুর ডুবে যাওয়ার কথা শোনা গেছে। ব্যাপক হারে ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি বছর পুকুর ভেসে মাছচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, উজানের ঢল আর বর্ষায় এখন পর্যন্ত ফসলি জমি ডুবে গিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন খবর পাইনি। জেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা ডুবে থাকতে পারে, সেসব জমিতে তেমন ফসল আবাদ হয় না।

সর্বশেষ খবর