মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

ওজন স্লিপ জালিয়াতি, ৫ কর্মকর্তা বদলি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের ওজন কারচুপির অভিযোগে বন্দরের ৫ কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে শাস্তিমূলক বদলি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে জড়িত তিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলসহ আরও আট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কে শনাক্ত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত হলেন উপ- পরিচালক মনিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম,  সহকারী পরিচালক রাশেদুল নাজিব, সাইফুর রহমান ভুঁইয়া, ট্রাফিক পরিদর্শক রোকনুজ্জামান আবেদিন, অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম। বন্দরের উপসচিব আতিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে বন্দরের উপপরিচালক দুজনকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত এবং বাকিদের বিভিন্ন বন্দরে বদলি করা হয়েছে। এদিকে ওজন জালিয়াতি করে বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেবার অভিযোগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রহমত ইন্টারন্যাশনাল,  রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ ও সোনালী সিএন্ডএফ এজেন্ট নামের তিনটি লাইসেন্সের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করেছে। বনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, ভারত থেকে পণ্য আমদানির পর মালামালসহ স্কেলে গাড়ির ওজন নেবার পর পুনরায় খালি গাড়ির ওজন নিয়ে পণ্যের নিট ওজন নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি ১১টি পণ্য চালানের ওজন নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রকৃত ওজন স্লিপ সরবরাহের কথা বলা হলে বিষয়টি এড়িয়ে  যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও জানান, বেশ কিছু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গত কয়েক মাস নকল ওজন স্লিপে পণ্যের পরিমাণ কম দেখিয়ে মালামাল খালাস নিয়ে গেছে তদন্তে  আটটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরের পরিচালক আবদুল জলিল জানান, দেশের সকল বন্দরে কাস্টমস এবং বন্দরের যৌথ স্বাক্ষরে পণ্যের ওজন নিশ্চিত করা হয়। বেনাপোল কাস্টমসকে এ ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ওজন স্লিপ জালিয়াতির বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।  পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে বদলি বিষয়টি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। বদলিকৃত কর্মকর্তারা ওজন স্লিপ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

সর্বশেষ খবর