মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাস ডাকাতি মামলায় চারজনের কারাদন্ড

কুমিল্লা প্রতিনিধি

যাত্রীবেশে বাসে উঠে ধারালো চাপাতি ও ছুরি দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গুরুতর আঘাত করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি ডাকাতির অপরাধে চারজনের প্রত্যেককে দুটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পিপি রফিকুল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কাউছার, জামসেদ মোল্লা, সুমন ও রফিক। 

মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১০ সালের ২০ জুলাই ঢাকা সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড হতে কর্ডোভা বাস ছেড়ে যায়। ডাকাত দল যাত্রীবেশে বাসে ওঠে। মেঘনা সেতু অতিক্রম করার পরপরই চাপাতি ও ছোরা বের করে বাসটির চালককে গাড়ির স্টিয়ারিং হতে উঠিয়ে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। যাত্রীদের ওপর হামলা করে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। যাত্রীদের চিৎকার করলে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ বাসটির পিছু ধাওয়া করে। বাসটি দাউদকান্দি এলে হাইওয়ে পুলিশ গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকজন ডাকাতকে আটক করে। এ ব্যাপারে ২০১০ সালের ২০ জুলাই চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কামাল হোসেন বাদী হয়ে ডাকাত কাউছার, জামসেদ মোল্লা, রফিক ও সুমন এবং পলাতক মো. ফারুক (২২) ও সোলায়মানসহ (২৫) অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় ডাকাতি মামলা করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কাউছার, জামসেদ মোল্লা, মো. রফিক, সুমনের বিরুদ্ধে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামি সোলাইমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অভিযোগের দায় হতে খালাস প্রদান করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর