মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রাহকের ১১ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

এমএলএম কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জে (এমটিএফআই) বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন জয়পুরহাটে বহু গ্রাহক। জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১ হাজার যুবককে প্রতিদিন লভ্যাংশ পাওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ১১ কোটি টাকা নিয়ে সাত কর্মকর্তা সাইট বন্ধ করে গাঢাকা দিয়েছেন। গাঢাকা দেওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সাদ আলম চৌধুরী, তামান্না আক্তার সুরভি, সুমন খন্দকার, মইনুল হোসেন, মোশারফ হোসেন, আল হোসেন রাব্বি ও শহিদুল আলম চৌধুরী। জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়ার সৌখিন দেওয়ান সপ্তাহে ৩ হাজার করে ৬ হাজার টাকা লভ্যাংশের আশায় ২৫ হাজার টাকার দুটি হিসেব খুলে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন। সৌখিন জয়পুরহাট শহরের ইরাকনগর মহল্লার সাদ চৌধুরীর মাধ্যমে হিসাব দুটি খোলেন। সাদের কথামতো সৌখিন তার মহল্লার ২৫ বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনেরও ওই অ্যাপসে হিসাব খুলে দেন। তাদের মধ্যে ইমন দেওয়ান একজন। তিনি ৬৩ হাজার টাকা অ্যাপসের মাধ্যমে জমা করেন। বিনিময়ে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ টাকা তাকে লাভ দেওয়ার কথা ছিল। ওই মহল্লার ইয়ামিন অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ৫৫০ টাকা দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন তামান্না আক্তার সুরভি।

সদর উপজেলার জামালগঞ্জ পালশা গ্রামের কলেজছাত্র সিহাব জানান, মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার প্রলোভনে তিনি দুই অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। এ টাকা তিনি অন্যের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। শুধু সৌখিন, সিহাবই নন বিভিন্ন মহল্লার শত শত যুবক এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। জেলা প্রশাসক সালেহীন গাজী তানভীর বলেন, এমটিএফআই এ বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর