বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাঞ্চল্যকর দর্জি হত্যার রহস্য উদঘাটন

পাবনা প্রতিনিধি

চাঞ্চল্যকর দর্জি হত্যার রহস্য উদঘাটন

ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়া এলাকার দর্জি হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম রিমন। তিনি ভাঙ্গুড়ার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আতিকুর সরকারের ছেলে। গতকাল সকালে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, হাসিনুর রহমান হাসু পেশায় দর্জি ছিলেন। প্রথম স্ত্রী মানসিক অসুস্থ থাকায় পরিবারের সম্মতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাজেদা খাতুনকে। পারিবারিক কলহে সম্প্রতি এক কন্যাসন্তানের জননী সাজেদা খাতুনকে তালাক দেন হাসু। আবারও সাজেদা সংসার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে কবিরাজের দেওয়া তাবিজ হাসিনুরের বাড়িতে পুঁততে সাজেদা খাতুন তার বোনজামাই রিমন হোসেনকে পাঠান। ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে রিমন সরকার গভীর রাতে হাসিনুরের বাড়ির গেটের সামনে তাবিজ পুঁততে যান। হাসু টের পেয়ে রিমন সরকারকে কৌশলে তার রুমে ডেকে দরজা লাগিয়ে দেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে ভীত হয়ে রিমন রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে হাসিনুর রহমান বাধা দেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রিমন ঘরের দরজার পাশে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হাসিনুরের মাথায় আঘাত করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে রিমন হাসিনুরকে মেঝেতে পড়ে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ের ওপর আঘাত করেন। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রিমন ঘরের পেছনে শাবল দিয়ে সিঁধ কেটে রাখেন; যেন মানুষ ভাবে কোনো চোর চুরি করতে এসে হত্যা করেছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘাতক রিমনকে দ্রুত গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তাবিজ ও হত্যায় ব্যবহৃত শাবল, দা ও রক্তমাখা শার্ট-লুঙ্গি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে পাবনার আতাইকুলা থানায় চাঞ্চল্যকর কৃষক কুদ্দুস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি হলেন আতাইকুলার স্বরূপপুর এলাকার কাজি আহম্মেদ আলীর ছেলে আকমল হোসেন (৪৫)। পুলিশ জানায়, পরকীয়া সম্পর্ক জানতে পারায় পরিকল্পিতভাবে কুদ্দুসকে হত্যা করেন আকমল।

সর্বশেষ খবর